কলকাতা: এনআরএসে হাসপাতালে হুলস্থুল৷ মহেশতলার বাসিন্দা যুবকের মৃত্যু পর এবার চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্সদসহ ৬৪ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হচ্ছে বলে খবর৷ গতকাল এনআরএস হাসপাতালে সিসিইউতে মহেশতলার এক রোগীর মৃত্যু হয়৷ রোগীর নমুনা পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য৷ গতকাল গভীররাতে সেই নমুনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে৷ রোগী মৃত্যুর পর সর্তকতা হিসেবে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স-সহ মোট ৬৪ জনকে কয়েকজনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ একই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভেন্টিলেটর সুবিধাযুক্ত ১৪ বেডের সিসিইউ ও হাসপাতলে ১৪০ বেডের পুরুষ মেডিসিন বিভাগ৷
জানা গিয়েছে, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহেশতলার বাসিন্দা এক যুবককে ভর্তি হয়েছিলেন মেডিসিন বিভাগে৷ নানান শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি৷ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে সিসিইউতে ভর্তি রাখা হয়৷ পরে তাঁর করোনা লক্ষণ ফুটে ওঠে৷ পরে তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়৷ শনিবার ওই যুবকের মৃত্যু হয়৷ গভীর রাতে রিপোর্ট মেলে করোনা পজেটিভ৷ যদিও সরকারি হবে এবিষয়ে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি৷ পরে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬৪ জন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ ৬৪ জনের জন্য ৩৯ জন চিকিৎসক রয়েছেন৷
সর্তকতা ব্যবস্থা হিসাবে জরুরি ভিত্তিতে আনানো হচ্ছে করোনা চিকিৎসায় কাজে লাগা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন৷ একই সঙ্গে এনআরএসের সিসিইউ বিভাগ ও পুরুষ মেডিসিন বিভাগ আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে৷ ভেন্টিলেটর সুবিধাযুক্ত ১৪ বেডের সিসিইউ ও হাসপাতলে ১৪০ বেডের পুরুষ মেডিসিন বিভাগ সেটা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ এই দুটি ওয়ার্ড আগামী ৪৮ ঘণ্টায় রোগী ভর্তি নেওয়ার কাজ বন্ধ থাকবে৷ সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করা না পর্যন্ত ওয়ার্ড চালু করা হবে না বলে এনআরএস মেডিকেল কলেজ সূত্রে খবর৷
মহেশতলার রোগীর মৃত্যুর পর হাসপাতালে হুলুস্থুল কাণ্ড তৈরি হয়৷ ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক৷ ওই যুবক যে ওয়ার্ডে প্রথমে ভর্তি ছিলেন, সেখানকার ডিউটি করা ডাক্তার, মনার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা যে ক'টি শিফটে ডিউটি করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়ে৷ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তড়িঘড়ি উদ্যোগী হয় কর্তৃপক্ষ৷ ওই রোগীর সরাসরি যাঁরা সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷