চাঁচল: গ্রামে তীব্র জল সঙ্কট। পানীয় জলের দাবিতে একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে জল যন্ত্রণার শিকার মালদহের চাঁচলের দরিয়াপুর,সোনারায়,দিঘাবসতপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এলাকায় জলের অভাবে মেটাতে পিএইচই-এর তরফে বসানো হয়েছে জলের ট্যাংক। সেখান থেকে গ্রামে গ্রামে জল সরবরাহের জন্য দেওয়া হয়ে একাধিক জলীয় কানেকশন।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামগুলিতে অধিকাংশের বাড়িতে কানেকশন করা হয়েছে। পাইপ কানেকশন মিললেও, একফোঁটা জল পায়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। ফলে জলের অভাবে গৃহস্থলী কাজ কর্ম থেকে শুরু করে পানীয় জল সবটাই ভরসা পুকুরের জল। গ্রামে দু একটি চাপাকল থাকলেও বছরের বেশিরভাগটা সময় বিকল হয়ে পড়ে থাকে। কাপড় কাচা, বাসন মাজা, রন্ধন কাজের জন্য ভরসা পুকুরের জল বলে জানাচ্ছেন বাসিন্দারা।
দরিয়াপুরের এক বৃদ্ধা সন্ধ্যা দাস অভিযোগ করে জানান, পাইপ কানেকশন মিললেও এখনও জল পাচ্ছি না। চাহিদা মেটাতে পুকুরের জলই ব্যবহার করছি। পুকুরের ঘোলা জল ব্যবহার করলে নানান অসুখ বাসা বাধতে পারে শরীরে। আরেক বাসিন্দা সুকুমার সাহা অভিযোগ করে জানান, এলাকার মেহের আলি মোড়ে পিএইচই জলের ট্যাঙ্ক বসানো হয়েছে। গ্রামে গ্রামে পিএইচইর সেই পাইপ গেলেও এখনো পর্যন্ত আমরা সেই জল পাচ্ছিনা। কারোও বাড়িতে জল গেলেও তা ঘোলা। যা ব্যবহারে অনুপযুক্ত। পুকুরের জল বা গ্রামের টিউবওয়েলের জলই ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও পঞ্চায়েতের সেই টিউবওয়েলগুলো বছরের বেশিরভাগটা সময় অকেজো হয়ে পড়ে থাকে। তাই আমরা চরম জল সঙ্কটে ভুগছি। এলাকায় দ্রুত পরিস্রুত পানীয় জলের বন্দোবস্ত চাইছি। তার দাবিতে এই বিক্ষোভ।
যদিও এই ঘটনায় পিএইচই দপ্তরকেই দুষলেন চাঁচলের বিধায়ক নিহাররঞ্জন ঘোষ। তিনি বলেন, এলাকায় গেলেই প্রচুর মানুষ পানীয় জলের বিষয় নিয়ে আমার কাছে অভিযোগ করেন। গ্রামে পাইপ কানেকশন চলে গেলেও অধিকাংশই বিশুদ্ধ জল পাচ্ছে না। চরম সমস্যায় পড়েছেন তারা। সেখানকার মানুষকে পুকুরের জলের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। বিষয়টি আমি পিএইচই দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারকে জানিয়েছি। কিন্তু তিনি এখনো পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। তাদের গাফিলতিতেই জল কষ্টে ভুগছে বাসিন্দারা বলে অভিযোগ বিধায়কের। যদিও এবিষয়ে জনস্বাস্থ্য দফতরের কোনও আধিকারিকের প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷