চাঁচল: হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। তারপরই শুরু হতে চলেছে বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। আনন্দঘন মুহূর্তে বিষাদগ্রস্ত ঢাকিরা। করোনাকালে বরাত এসেও ফিরে যাচ্ছে। ভ্যাকসিন না মেলায় মিলছে না কাজ। দুশ্চিন্তায় মালদার চাঁচোলের পাহাড়পুরের ঢাকি পরিবারগুলি। দ্রুত ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হবে আশ্বাস চাঁচলের মহকুমা শাসকের।
গতবছর করোনার জন্য অনেক পুজো উদ্যোক্তাই পুজো করেননি। কেউ কেউ আবার নামমাত্র পুজো সেরেছিলেন। ফলে মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাক বাজানোর বরাত পাননি অনেক ঢাকি। আর এবারের পুজো আসতেই আরেক সমস্যার সম্মুখীন মালদার চাঁচলের পাহাড়পুরের ঢাকি সম্প্রদায়। পুজোর আগে বরাত আসলেও তা ফিরে যাচ্ছে। ভ্যাকসিন না মেলায় মণ্ডপে কাজের ছাড়পত্র পাচ্ছেন না তারা। ঢাকিদের দাবি পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট নিয়ে আসলে তবেই মন্ডবে ঢাক বাজানোর ছাড়পত্র মিলবে। আর এর ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ঢাকিরা। গত বছরের মতো এ বছরও কাজ হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই দ্রুত ভ্যাকসিনেশনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
চাঁচলের পাহাড়পুরের এক ঢাকি রবি দাস জানান, আমাদের এখানে ২৫টির বশি পরিবার রয়েছে। যারা মূলত সারা বছর ঢাক বাজিয়ে সংসার চালান। অবসর সময়ে জাল টেনে বা অন্যের জমিতে কাজ করে। গত দুই বছর ধরে করোনা কারনে সমস্যায় রয়েছি আমরা। এবছর ভ্যাক্সিন না হওয়ায় কোনও পুজো মন্ডপ বরাত দিচ্ছেন না ঢাক বাজানোর। দূর দূরান্ত থেকে যে সমস্ত বরাত আসছে তারাও ভ্যাক্সিন না হলে ঢাক বাজানোর অনুমতি দিচ্ছে না। ফলে সমস্যায় রয়েছি। এই নিয়ে আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি। আমাদের ভ্যাক্সিনের ব্যবস্থা করলে ভাল হয়। না হলে আমরা সংসার নিয়ে সমস্যায় পড়ব। বিষয়টি নজরে এসেছে বলে জানিয়েছেন চাঁচলের মহকুমা শাসক কল্লোল রায়। তিনি বলেন, ঢাকিদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। দ্রুত তাদের ভ্যাক্সিনেশন এর ব্যবস্থা করা হবে।