বারাকপুর: এক ঝলক দেখলে ভ্রম হতে পারে! মনে হতেই পারে, বিয়ে বাড়িতে চলে এসেছেন৷ সৌজন্যে, কাঁচরা পাড়ার কুমোরপাড়া আগরিপাড়া ক্লাবের নব-ভাবনা৷ রীতি মেনে সপ্তমীর সকালে কলা বউ স্নানের সঙ্গেই আগরিপাড়া ক্লাবের পুজোর প্যান্ডেল মধ্যে নব বর ও বধূ রূপে বসে মন্ত্র উচ্চারণ করে ফের আবার বিয়ে সারলেন কাঁচরাপাড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান সুদামা রায় ও তাঁর স্ত্রী!
স্বভাবতই পুজো মণ্ডপে অভিনব এই সামাজিক ও ধর্ণীয় অনুষ্ঠানের মেল বন্ধন দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো৷ উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, নব পত্রিকা বা কলা স্নানের মধ্যে দিয়ে মণ্ডপে নতুন বৌকে আনা হয়৷ তাই এবারে পুজোর থিমের অন্যতম আঙ্গিক ছিল, বধূ বেশে মায়ের আগমন। সেই থিমের কথা মাথায় রেখেই নব বর ও বধু রূপে সেজে পুজোর শুভ উদ্বোধন করলেন কাঁচরাপাড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান সুদামা রায়৷
যার জেরে ১৮ বছর পর ফের একবার নিজের স্ত্রীর সাথে বিয়ের পিড়িতে বসতে পেরে নস্টালজিক হতে দেখা গেল এলাকার দাপুটে চেয়ারম্যানকে৷ বললেন, ‘‘উদ্যোক্তাদের এমন অভিনব উদ্যোগের প্রস্তাব পেয়ে প্রথমটাই বেশ লজ্জা লাগছিল৷ কিন্তু এখন বেশ ভাল লাগছে৷ ওদের উদ্যোগেই ১৮ বছর আগের স্মৃতি কথা ফের টাটকা হয়ে উঠল৷’’
এদিকে শুধু কাঁচরাপাড়া নয়, হাওড়া থেকে বাঁকুড়া নবপত্রিকা স্নানের মাধ্যমে সর্বত্র শুরু হয়েছে সপ্তমীর পূজা। হাওড়াতেও গঙ্গার ঘাটগুলিতে সকাল থেকেই মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনা আবহের মধ্যেই মঙ্গলবার সপ্তমীর সকালে কলা বউয়ের স্নানপর্ব দেখা গিয়েছে গঙ্গার ঘাটগুলিতে। মঙ্গলশঙ্খ, কাঁসর ঘণ্টায় ঢাকের বাদ্যিতে সাত সকালে শুরু হয়েছে কলা বউয়ের স্নান। কলা বউয়ের মঙ্গল স্নানের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছে সপ্তমীর পুজো। মহা সপ্তমীর সকাল থেকে বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন গন্ধেশ্বরী নদীতেও চলছে নবপত্রিকার স্নান পর্ব।