চুনো মাছ রক্ষায় ‘চুনোকালী’র চরণে পুজো মৎস্যজীবীদের

পূর্বস্থলী: চুনো মাছের বংশবিস্তার ও সেই মাছ বিক্রি করে রুজি-রুটির সংস্থান৷ এই জোড়া উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে নাদনঘাটের বড়কোবলায় কালীপুজো করলেন এলাকার বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী৷ ২০০২ সাল থেকে শুরু হওয়া পুজোটি এখন বহরে অনেকটাই বেড়েছে৷ এলাকার ৬০ একর জায়গাজুড়ে রয়েছে একজোড়া বিল৷ বাশদহ ও চাঁদের বিল৷ এই দিল দু’টির মাঝে রয়েছে একটি সেতু৷ লোহার ব্রিজ৷ ব্রিজের

চুনো মাছ রক্ষায় ‘চুনোকালী’র চরণে পুজো মৎস্যজীবীদের

পূর্বস্থলী: চুনো মাছের বংশবিস্তার ও সেই মাছ বিক্রি করে রুজি-রুটির সংস্থান৷ এই জোড়া উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে নাদনঘাটের বড়কোবলায় কালীপুজো করলেন এলাকার বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী৷

২০০২ সাল থেকে শুরু হওয়া পুজোটি এখন বহরে অনেকটাই বেড়েছে৷ এলাকার ৬০ একর জায়গাজুড়ে রয়েছে একজোড়া বিল৷ বাশদহ ও চাঁদের বিল৷ এই দিল দু’টির মাঝে রয়েছে একটি সেতু৷ লোহার ব্রিজ৷ ব্রিজের ধারে করা হয়ে আসছে কালী পুজো৷ এবারও হয়েছে৷ পুজোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক স্বপন দেবনাথ এখন সংশ্লিষ্ট পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক৷ রাজ্যের মন্ত্রীও বটে৷

তাঁর উদ্যোগে অর্থ সংগ্রহ করে ২০১৫ সালে নির্মিত হয়েছে মার্বেলের পাথরের মন্দির৷ এখানকার কালীর নামটিরও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত৷ নাম রাখা হয়েছে ‘চুনোকালী’৷ এখানকার কালিপুজো কালিপুজো ভোগ হিসাবে দেওয়া হয় চুনো মাছের পদ৷ ঠাকুরের পাশে রাখা হয় জাল, পলুই-সহ মাছ ধরার নানান সরঞ্জাম৷ স্বপনবাবু পুজোর দিন উপবাস করে মৎসজীবীদের সঙ্গে পুজোয় অংশ নেন৷

স্থানীয় মৎস্যজীবীদের বিশ্বাস, বহুকাল আগে ভাগীরথীর এই এলাকা দিয়ে চাঁদ সদাগর সপ্তডিঙা নিয়ে এই জলপথ দিয়ে গিয়েছিলেন৷ মৎস্যজীবীদের মতে, প্রত্যেক বছর পুজোর আগে দুই বিলের সংস্কার করা হয়৷ এখানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা হয়৷ সেই মাছ বিক্রি করে তাঁদের সংসার চলে৷ ফলে, মা ‘চুনোকালী’ই এখন তাঁদের বেঁচে থাকার সহায়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *