কলকাতা: দুর্গাপুজোর বিধিনিষেধ নিয়ে আগেই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ এবার প্রতিমা বিসর্জনের দিনক্ষণ ঠিক করল কলকাতা পুরসভা৷ ২৬ অক্টোবর থেকে প্রতিমা বিসর্জন করা যাবে৷ কলকাতা পুলিশের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই জানিয়েছে পুরসভা৷ তবে করোনা পরিস্থিতিতে পুজোর পর এবারের প্রতিমা বিসর্জনেও থাকবে নানান বিধিনিষেধ৷ কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, হাতে গোনা কয়েকজন পুজো উদ্যোক্তাকেই বিসর্জন ঘাটের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে৷ একসঙ্গে অনেক লোক জমা হলে তা করোনার বিধিনিষেধকে লঙ্ঘন করবে৷ তাই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে৷ ঘাটে থাকবেন কুমোরের দল৷ প্রতিমা বিসর্জনে সাহায্য করবেন তারা৷
কেএমসির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এবছর বিসর্জনের ঘাটে নিয়মাদি পালনের জন্য মাত্র কয়েকজন উদ্যোক্তাদের অনুমতি দেওয়া হবে৷ একইসঙ্গে জানানো হয়েছে কড়াভাবে পালন করা হবে এই নিয়ম৷ এই নিয়ম যেমন মানা হবে গঙ্গাবক্ষে বিসর্জনের ক্ষেত্রে একইসঙ্গে পুকুর ও অন্যান্য বড় জলাশয়ের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম পালন করতে হবে৷ বিসর্জনের ঘাটগুলিতে মোতায়েন থাকবে কলকাতা পুলিশ৷ অন্যদিকে এক একটি প্রতিমা বিসর্জনের জন্য কতজন কুমোর লাগবে তা আগেই জেনে নেওয়া হবে পুজো উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে৷ কেএমসি তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, বিসর্জনের পর যারা ঘাট পরিষ্কার করতে আসেন তাদের সংখ্যার দিকেও নজর রাখবে পুরসভা৷
একদিকে করোনার প্রকোপ, অন্যদিকে শুরু হয়ে গিয়েছে উত্সবের মরশুম৷ তবে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁটতে প্রচুর বিধিনিষেধ মেনে পুজো হবে এবার৷ কলকাতা হাইকোর্টের রায় মেনে পুজো মণ্ডপগুলিকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হবে৷ যার ফলে কয়েকজন পুজো উদ্যোক্তা ও ঢাকি ছাড়া বাকী দর্শকদের মণ্ডপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ ফোরাম ফর দুর্গোৎসবে’র করা পুজো মামলার রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জিতে বুধবার সামান্য ছাড় দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট৷ জানানো হয়েছে, নো এন্ট্রি জোনে রাখা যাবে ঢাকিদের। তবে সেক্ষেত্রে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে। ৩০০ বর্গমিটারের কম আয়তনের মণ্ডপের ক্ষেত্রে ১০ জন এবং বড় মণ্ডপে একসঙ্গে থাকতে পারবেন ৪৫ জন। তবে বড় মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৬০ জন। প্রতিদিন বদল করা যেতে পারে পুজো উদ্যোক্তাদের নামের তালিকা। সকাল আটটার সময় সেই তালিকা মণ্ডপের বাইরে টাঙিয়ে দিতে হবে।