কলকাতা: রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আগামী দিনে যে সেই পরিস্থিতির বদল ঘটতে পারে তার সতর্কবার্তা অনেক আগে থেকেই দেওয়া রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর থেকে শুরু করে গবেষক এবং চিকিৎসক মহল ইতিমধ্যেই সতর্ক করে দিয়েছে যে আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আসার পক্ষে আদর্শ। সেই প্রেক্ষিতে উৎসব মরশুমে সাধারণ মানুষের গতিবিধি যে চিন্তা বাড়বে তা আগে থেকেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। এবার হলও যেন তাই। দ্বিতীয় দিনেই রাজপথে যে ভিড় দেখা গেল মানুষের তাতে অবশ্যই আতঙ্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ নিয়ে। উৎসবী ভিড়ে যেন করোনাই পদপিষ্ট!
রাজ্য সরকারের তরফে একাধিক বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে দুর্গাপুজোর সময়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা থেকে শুরু করে ভিড় এড়ানো, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার, সব কিছুই রয়েছে। এদিকে ভ্যাকসিন নিয়েও আলাদা করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার সন্ধ্যাতে রাজপথে যে ভিড় দেখা গিয়েছে জায়গায় জায়গায় তাতে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা বাড়বে বৈ কমবে না। মণ্ডপের ভেতরে সেই সংখ্যক মানুষ হতে না পারলেও মণ্ডপের বাইরে রীতিমতো গিজগিজ করছে মানুষের ঢল। যা দেখে বিশেষজ্ঞদের প্রবল আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে। পুজোতেই ভিত্তিকে নতুনভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে এমনই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে সকলের মনে। কারণ এই মুহূর্তে পরিস্থিতি এমন যে ভ্যাকসিন দেওয়া ব্যক্তির যদি সংক্রমণ হয় তাহলে তার উপসর্গ স্পষ্ট হচ্ছে না। আবার অল্প কয়েকদিন জ্বর হলে কেউ কেউ টেস্ট করাচ্ছে না। তাই পুজোর ভিড়ে যদি এমন ব্যক্তি থেকে থাকে তাহলে তাকে নোটিশ করা সম্ভব হবে না। এতেই বাড়ছে সবথেকে বেশি আশঙ্কা।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪৮ জন। যাদের মধ্যে শহর কলকাতাতেই আক্রান্ত ১৫৮ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ১২৮ জন। আপাতত লোকাল ট্রেন না চললেও সাধারণ মানুষের ভিড় যে শহরাঞ্চলে বাড়ছে তা একেবারে স্পষ্ট। তাই অবশ্য ভাবে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা অবশ্যই হবে বেড়ে গেল উৎসবের এই ভিড় দেখে।