হাূবড়া: পুজো চলছে। বিধায়কের আরোগ্য কামনায় চলছে পুজো। আবার একই সঙ্গে চলছে লকডাউন। হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক করোনার সাম্প্রতিক শিকার। কোভিড আক্রান্ত হয়ে বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী আপাতত হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর আরোগ্যকামনায় পুজোর আয়োজন করেন উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার তৃণমূলকর্মীরা। সে পুজোপাঠ তো চলতেই পারে, কিন্তু সময়টা যে অনুকূল নয় তা বোধহয় ভুলে গেছেন বিধায়কের অনুরাগীরা। ভুলে গেছেন রাজ্য সরকারের নির্দেশে সোমবার রাজ্যজুড়ে করোনা লকডাউন৷ লকডাউন ভেঙে কেন পুজোর আয়োজন? প্রশ্ন বিরোধী শিবিরের৷
পুলিশ প্রশাসন, মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বারবার অনুরোধ করছেন লকডাউনে বাড়িতে থাকতে। সাধারণ সময়েও অনুরোধ করা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে, মাস্ক পরতে, প্রয়োজন না হলে বাড়ির বাইরে না বেরোতে, সেখানে কীভাবে গায়ে গায়ে বসে দূরত্ববিধি ও লকডাউনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পুজো পাঠ চলল তা, জাবাব দিয়েছে স্থানীয় নেতৃত্ব৷
পুজোর উদ্যোক্তাদের দাবি প্রিয়, নেতা যাতে সুস্থ দেহে বাড়ি ফিরতে পারেন, তাঁর মঙ্গলকামনাতেই তাঁরা পুজোর আয়োজন করেন। যাগযজ্ঞ করে প্রকাশ্য রাস্তার ওপর বেশ ধূমধামেই পুজো হয়। জনপ্রিয় বিধায়কের জন্য দলীয় কর্মীরা উদ্বিগ্ন হতেই পারেন। আর প্রিয় মানুষের মঙ্গলের জন্য পুজো তো হতেই পারে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয়। তবে তাঁর সরকারের তরফে ডাকা লকডাউন বিধি যখন শাসকদলের কর্মীরাই ভাঙেন, তখন প্রশ্ন তো উঠবেই।
যখন বারবার সাধারণ মানুষকে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হচ্ছে্। বারবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করছেন সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে। প্রশাসনিক স্তরে চলছে সচেতনতা কর্মসূচি। তখন এই বিধিভঙ্গের জন্য শাসকদলের তরফে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা নিয়ে এখন জল্পনা শুরু হয়েছে। লকডাউনের দিন এভাবে প্রকাশ্যে রাস্তায় জড়ো হওয়া নিয়েও তো বিধিনিষেধ রয়েছে। পুলিশের দৃষ্টি এড়িয়ে কীভাবে এই কাজ হল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সেক্ষেত্রে কেন এই পুজোর উদ্যোক্তারা ছাড় পেলেন তা নিয়েও বিরোধীদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে শাসকদলের নেতৃবৃন্দ।