পুজোর মুখে ‘রঙিন জল’ বিক্রিতে রেকর্ড রাজস্ব রাজ্যের! জানলে চমকে উঠবেন

কলকাতা: আর মাত্র একটি দিনের অপেক্ষা৷ তারপর সপরিবারে মর্ত্যে নেমে আসবেন দেবী দুর্গা৷ চলছে শেষ মুহূর্তের যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি৷ পুজোর সাজ পোশাক, খাওয়া-দাওয়া, ঘুরতে যাওয়ার পর্ব ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু পুজোর আনন্দে রঙিন জল ছাড়া কি চলে? আর এই ‘রঙিন জল’ জনপ্রিয়দের জন্য সুখবর দিয়েছে রাজ্য৷ কিন্তু, জানেন মদ বিক্রি করে পুজোর মুখে মাত্র ১

পুজোর মুখে ‘রঙিন জল’ বিক্রিতে রেকর্ড রাজস্ব রাজ্যের! জানলে চমকে উঠবেন

কলকাতা: আর মাত্র একটি দিনের অপেক্ষা৷ তারপর সপরিবারে মর্ত্যে নেমে আসবেন দেবী দুর্গা৷ চলছে শেষ মুহূর্তের যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি৷ পুজোর সাজ পোশাক, খাওয়া-দাওয়া, ঘুরতে যাওয়ার পর্ব ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু পুজোর আনন্দে রঙিন জল ছাড়া কি চলে? আর এই ‘রঙিন জল’ জনপ্রিয়দের জন্য সুখবর দিয়েছে রাজ্য৷ কিন্তু, জানেন মদ বিক্রি করে পুজোর মুখে মাত্র ১ কত কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে আবগারি দপ্তর৷

বহুল প্রচলিত একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এক মাসে আবগারি দপ্তর রাজস্ব আদায় করেছে কমপক্ষে ১১০০ কোটি টাকা৷ মদ বিক্রি হয়েছে ১৬০০ কোটি টাকার বেশি৷ রাজ্যে বিপুল পরিমাণ মদ বিক্রি হওয়ার সৌজন্যে রাজ্যের আবগারি দপ্তরের থেকে প্রায় ১১০০ কোটি টাকা রাজ্যের ঘরে এসে পৌঁছেছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর৷ যা রেকর্ড বলেও মনে করছে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ পুজোর আগে রেকর্ড মাত্রায় রাজস্ব উঠে আসায় উৎসবের আবহে সেই পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ মাত্র এক মাসে হাজার কোটি টাকার রাজস্ব, রাজ্যের আবগারি দপ্তরের ইতিহাসে বিরল বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷

আবগারি দপ্তর সূত্রে খবর, বেভারেজ কর্পোরেশন তৈরি হওয়ার পর থেকেই আগাম টাকা জমা রেখে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে মদ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা৷ ফলে পুজোর আগে ইতিমধ্যেই মদ তুলে রাখার জন্য ব্যবসায়ীরা আগাম টাকা জমা করেছেন৷ এবার পুজো যেহেতু অক্টোবরে শুরু হয়ে গিয়েছে, ফলে সেপ্টম্বর থেকে মদ জমিয়ে রাখতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা৷ ফলে বিক্রি অনেকটাই চড়া হয়েছে বলে অনেকাংশেই মনে করা হচ্ছে৷ এই ধারা বজায় থাকবে শীত পর্যন্ত৷ কেননা শীতের সময় মদের বিক্রি বেশ খানিকটা বেড়ে যায়৷

২০১৬ থেকে পুজোর চার দিন সব মদের দোকান খোলা থাকছে৷ এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, পুজোর মরশুমে এবার খোলা থাকবে মদের দোকান৷ আর সেই কারণে উৎসবের দিনগুলোতে ‘রঙিন জলে’র সন্ধানে ছোটাছুটি করার কোন প্রয়োজন নেই৷ চাইলে নির্দিষ্ট দোকান থেকেই মিলবে সুরা৷ পুজোর দিনগুলিতে মদের দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ কেননা, উৎসবের দিনগুলিতে দোকান খোলা থাকলে মন্তব্যের তাণ্ডব বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷

তবে, ক্ষোভ-বিক্ষোভ যতই থাকুক, এই মুহূর্তে রাজ্যে সাড়ে চার দিনের মতো মদের দোকান বন্ধ থাকে৷ ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস, ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস, ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীর দিনে বন্ধ থাকে মদের দোকান৷ দোল ও মহরমে অর্ধদিবস খোলা থাকে মদের দোকান৷ আগে মদের দোকান প্রায় ১২ দিন বন্ধ থাকত৷ পুজোর দিনগুলিতেও বন্ধ রাখা হত মদের দোকান৷

কিন্তু ২০১৬ পরিবর্তনের সরকার আসার পর থেকে বদলে গিয়েছে মদের দোকান বন্ধ থাকার রুটিন৷ ১২ দিনের পরিবর্তে এখন সাড়ে চার দিনে কমিয়ে আনা হয়েছে মদের দোকান বন্ধের সময়সীমা৷ ফলে এবার পুজোয় আর কোনও চিন্তা করার কোন প্রয়োজনীয়তা নেই! উৎসবের মরসুমে সহজে মিলবে সূরা৷ আর এই সিদ্ধান্তের জেরে সিঁদুরে মেঘ জমতে শুরু করেছে রাজ্যের আকাশে, মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × five =