এই মুহূর্তে ভোট হলে জিতবে কে? কার দখলে কত আসন? বলছে CNX-ABP আনন্দ সমীক্ষা

এই মুহূর্তে ভোট হলে জিতবে কে? কার দখলে কত আসন? বলছে CNX-ABP আনন্দ সমীক্ষা

a2b0a86153fdac9cb6f0e925865b0cdc

 

কলকাতা: করোনা সংক্রমণ বাড়লেও কিছুতেই কমছে বঙ্গ রাজনীতির উত্তাপ৷ দফায় দফায় চড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতর৷ করোনা আবহে বঙ্গ রাজনীতির উত্তার বাড়িয়ে এবার চাঞ্চল্যকর সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করল CNX-ABP আনন্দ৷ এই মুহূর্তে ভোট হলে কে জিতবে? কোন দল কত আসন পাবে? সমীক্ষায় ফিরতে পারে তৃণমূল৷

ধরে নেওয়া যাক, আপনার একটি পছন্দের রাজনৈতিক দল আছে এবং শেষ নির্বাচনে আপনি তাদের ভোট দিয়েছিলেন৷ করো না পরবর্তী সময়ে ভোট হলে আপনি কি এখনও সেই রাজনৈতিক দলকে ভোট দেবেন? CNX-ABP আনন্দের সমীক্ষায়  হ্যাঁ বলেছেন ৮৭% মানুষ৷ না বলেছেন ১১ শতাংশ মানুষ৷ জানি না বলেছেন ২ শতাংশ৷

এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভার ভোট হলে কার কত শতাংশ ভোট পেতে পারে? CNX-ABP আনন্দের সমীক্ষা বলছে, তৃণমূল পেতে পারে ৩৮.৫০ শতাংশ ভোট৷ বিজেপি পেতে পারে ৩২.৭৪ শতাংশ ভোট পেতে পারে৷ বাম-কংগ্রেস পেতে পারে ১৩.৮০ শতাংশ ভোট৷ অন্যান্যরা পেতে পারে ৫.৪৩% ভোট৷ সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি ৯.৫৩ শতাংশ ভোট৷ এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভায় ভোট হলে কোন দল কত আসন পেতে পারে? CNX-ABP আনন্দের সমীক্ষা বলছে, তৃণমূল ১৫৫ থেকে ১৬৩ আসন পেতে পারে৷ বিজেপি পেতে পারে ৯৭ থেকে ১০৫ টি আসন৷ বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ২২ থেকে ৩০টি আসন৷ অন্যান্যরা ৬ থেকে ১০টি আসন৷

সমীক্ষক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এই সমীক্ষা অনুযায়ী এই মুহূর্তে বিধানসভা ভোট হলে তৃণমূল ৩৮.৫ শতাংশ ভোট পেতে পারে৷ অর্থাৎ ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের তুলনায় তৃণমূলের ভোট কমছে ৪.৭৮ শতাংশ৷ তৃণমূলের তুলনায় করোনা পরবর্তী সময়ে বিজেপির ক্ষতি বেশি হচ্ছে৷ ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপি এই রাজ্যে পেয়েছিল ৪০.২৫ শতাংশ ভোট৷ তার তুলনায় এই সমীক্ষায় বিজেপির ভোট কমে দাঁড়িয়েছে ৩২.৭৪ শতাংশ৷ অর্থাৎ বিজেপি হারাচ্ছে ৭.৫ শতাংশের মতো ভোট৷

এই সমীক্ষা অনুযায়ী এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন হলে তৃণমূল পেতে পারে ১৫৫ থেকে ১৬৩টি আসন৷ ম্যাজিক ফিহার ১৪৮ আসন৷ মোট ২৯৪ বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি পেতে পারে ৯৭ থেকে ১০৫ টি আসন৷ তৃণমূল ও বিজেপি দুই দল আরও ভালো ফলাফল করার সম্ভাবনা আছে৷ বিশেষ সময়ে এই সমীক্ষা৷ ক্ষোভ-বিক্ষোভ, রাগ কমানোর সুযোগ ও সময় আছে শাসক দলের কাছে৷ আবার ক্ষোভ-বিক্ষোভ বাড়াতেও পারে৷ তাতে বিরোধী দলের লাভ হতে পারে বলেও সমীক্ষায় উঠে এসেছে৷

গতবছরের লোকসভা ভোটে যেভাবে এরাজ্যে সংখ্যালঘু মানুষের বড় অংশ একচেটিয়া তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলেন, এই সমীক্ষা অনুযায়ী এখন সেই প্রবণতা হুবহু এক নেই বলেও দাবি করা হয়েছে সমীক্ষায়৷ সংখ্যালঘু ভোটারের ভোটের একটা অংশ তাদের পুরনো পছন্দ, বাম-কংগ্রেসের দিকে ফিরছে৷ বিজেপির সামনে আগামী দিনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হিন্দু ভোটারদের  টেনে আনা৷ ভবিষ্যতে করোনা মোকাবিলায় নিয়ে ক্ষুদ্র জনতাকে নিজেদের দিকে টানতে পারলে বঙ্গ বিজেপির ফলাফল ভাল হতে পারে৷ আর তাতে ব্যর্থ হলে ফল খারাপ হতে পারে বলেও মিলেছে ইঙ্গিত৷

গত ৮ থেকে ১১ জুনের মধ্যে এই সমীক্ষা করা হয়েছে৷ ৬ হাজার ৫০০ জনের থেকে এই বিষয়ে মতামত নেওয়া হয়েছে৷ সেই মতামত নিয়ে এই সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে৷ সমীক্ষা ধ্রবসত্য নয়, আভাস মাত্র৷ দাবি সমীক্ষক সংস্থার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *