কলকাতা: বাংলায় উপনির্বাচন ইস্যুতে এবার কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হতে চলেছে জনস্বার্থ মামলা। গত ২ মে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল। ৫ই মে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের নির্বাচনে ২৯২ আসনে নির্বাচন হয়ে ছিল। বাকি দুটি আসন, সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে নির্বাচন হয়নি। এদিকে, পাঁচটি কেন্দ্রে উপ নির্বাচন বাকি রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের পরেও নির্বাচনে ‘অনীহা’ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের। এই ভিত্তিতেই অবিলম্বে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন চেয়ে মামলা করতে চলেছেন আইনজীবী রমা প্রসাদ সরকার। জানা গিয়েছে, এই মামলায় ‘পক্ষ’ হিসেবে যুক্ত করা হতে পারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবকে।
আরও পড়ুন- ব্যক্তিগত গাড়িতে ঘুরছে গরু!
সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে নির্বাচন ছাড়াও ভবানীপুর, খড়দহ, শান্তিপুর, দিনহাটা ও গোসাবায় উপনির্বাচন হওয়ার কথা। একাধিক বার নির্বাচন কমিশনে ভোটের জন্য আবেদন করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস। দাবি করা হয়েছে যে, এইসব কেন্দ্রে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণে তাই নির্বাচন হলে কোনও সমস্যা হবে না। সেই একই দাবি তুলে আইনজীবী রমা প্রসাদ সরকার মন্তব্য করেছেন যে, অন্য রাজ্যের তুলনায় বাংলার কোভিড পরিস্থিতি যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে। তাই এখানে নির্বাচন হতেই পারে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও কেন্দ্রের বিধায়ক পদ শূন্য হলে, ছ’মাসের মধ্যে সেখানে উপনির্বাচন করা বাঞ্ছনীয়। এক্ষেত্রে ভবানিপুর কেন্দ্রের জন্যই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিততে হবে কারণ তিনি বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- তালিবানের অগ্রগতির আগাম খবর ছিল, গনিকে চেপে যেতে বলেছিলেন বাইডেন, ফাঁস গোপন ফোনালাপ
উল্লেখ্য, দ্রুত নির্বাচন চেয়েছে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনও। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে রাজ্যের কর্তাদের যে বৈঠক হয়েছে তাতে মূলত বেশ কিছু প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি, দুর্গাপূজার ছুটি এবং বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। যদিও রাজ্যের কর্তারা দাবি করেছেন যে এই মুহূর্তে রাজ্যের পরিস্থিতি নির্বাচনের জন্য অনুকূল এবং তারা নির্বাচন করতে প্রস্তুত। সেই প্রেক্ষিতে তারা যত শীঘ্রই সম্ভব নির্বাচন চাইছেন কারণ পরের মাসে কমপক্ষে ২২-২৪ দিন ছুটি থাকবে উৎসবের জন্য।