প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই বিজেপি’তে বিক্ষোভ, ইস্তফা, প্রার্থী হতে অস্বীকার শিখার

প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই বিজেপি’তে বিক্ষোভ, ইস্তফা, প্রার্থী হতে অস্বীকার শিখার

কলকাতা:  বাকি থাকা ১৪৮টি আসনে আজ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি৷ আর প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই চারিদিকে শুরু ক্ষোভ-বিক্ষোভ৷ অস্বস্তি বাড়িয়ে প্রার্থী হতে অস্বীকার করলেন শিখা মিত্র৷ কথা না বলে চৌরঙ্গি কেন্দ্রে সোমন মিত্রর স্ত্রী শিখা মিত্রকে প্রার্থী করতেই বিস্ফোরক তিনি৷ 

আরও পড়ুন-  স্বামী দিনমজুর! মাটির বাড়িতে থেকেই জয়ের স্বপ্ন BJP-র সবচেয়ে গরীব প্রার্থীর

এদিন প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরেই শিখা মিত্র বলেন, কোনও মতেই বিজেপি’র প্রার্থী হচ্ছি না৷ এটা ভুয়ো সংবাদ৷ এটা আদৌ বিশ্বাসযোগ্য নয়৷ আমি নিজেই বলছি, আমি দাঁড়াব না৷’’ প্রসঙ্গত,  বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল সোমেন মিত্রের স্ত্রী তথা প্রাক্তন বিধায়ক শিখা মিত্র ও তাঁর ছেলে রোহন মিত্র বিজেপি’তে যোগ দিতে পারেন৷ শিখার সঙ্গে কথা হয়েছিল শুভেন্দুরও৷ চৌরঙ্গী থেকে তাঁদের কাউকে প্রার্থী করার কথাও বলা হয়েছিল৷ কিন্তু কিছু বিষয় নিয়ে দোটানায় ছিল মিত্র পরিবার৷ এদিন প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই বিজেপি’র অস্বস্তি বাড়ল৷ 

এদিকে, বিজেপি’র যুব মোর্চার সাধারই সম্পাদক তথা আসানসোলের পর্যবেক্ষক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সৌরভ সিকদার৷ যদিও অভিমানের সুরে তিনি বলেন, ‘‘এর সঙ্গে প্রার্থী পদের কোনও সম্পর্ক নেই৷  আমার মনে হচ্ছিল, দলের হয়তো আমাকে আর দরকার নেই৷ আমার থেকে অনেক যোগ্য লোক আছে৷ প্রার্থী হওয়ার জন্য কোথাও আবেদনও করিনি৷ তাহলে কেন প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর ইস্তফা দিলাম, তা অনেকেই জানতে চাইছে৷ এর কারণ হল, একটা বিষয় আমাকে খুবই নাড়া দিয়েছে৷ এ রাজ্যে পদ্ম চিহ্ন যাঁরা চিনিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আমার কাকা প্রয়াত তপন সিকদার৷ কোনও দিনও দেখিনি, বিজেপি’র দফতরে বিক্ষোভ হচ্ছে,  বিজেপি পরিবারের উপর পুলিশকে লাঠি চালাতে হচ্ছে৷ সেটা মেনে নিতে পারছি না৷’’

আরও পড়ুন- বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই ফের অসন্তোষ! ভাঙচুর, তাণ্ডব

তিনি আরও বলেন, ‘‘কোনও নেতা গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলছেন না, কথা বলতে তাইলে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না৷ এই বিজেপি’কে দেখতে অভ্যস্ত নই৷ কেন্দ্রীয় নেতারা এখানে সরকার আনার চেষ্টা করছেন৷ এটা হলে আমি খুশিই হব৷’’  তাঁর কথায়, ‘‘পুরনো নেতা-কর্মীদের চোখের জলে কি বিজেপি ক্ষমতায় আসবে? সেটাই কি চেয়েছিল বিজেপি?’’ তবে ইস্তফা দেওয়ার পর তাঁর সঙ্গে কোনও নেতার কথা হয়নি বলেই জানান সৌরভবাবু৷   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *