কলকাতা: ১০০ দিনের কাজ নিয়ে একাধিকবার প্রকাশ্য জনসভায় বাংলার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন এই ক্ষেত্রে বাংলা ১ নম্বর স্থানে রয়েছে। তবে কর্মবিরতির কোপে পড়ে সেই ১০০ দিনের কাজে কোন থমকে যাবার মুখে! কারণ রাজ্য জুড়ে চলছে কর্মবিরতি পালন যা করছে ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। মূলত গোটা রাজ্যে এর প্রভাব, বাদ নেই দার্জিলিং, জঙ্গলমহল।
ওয়েস্ট বেঙ্গল MGNREGA অল এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের ডাকে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচী। এই কর্মবিরতির প্রতিবাদের মূল দাবি, বার্ষিক চুক্তি প্রথা বাতিল করতে হবে, বেতন কাঠামো উন্নত করতে হবে। একইসঙ্গে দাবি করা হয়েছে, সমকাজে সমবেতন দিতে হবে এবং চাকরি ক্ষেত্রে প্রবীণত্ব ফিরিয়ে দিতে হবে। একই সঙ্গে ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরি সুনিশ্চিত করতে হবে বলেও দাবি করেছেন তারা। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন এরা সকলে। যদিও সেই প্রেক্ষিতে কোনো লাভ না হওয়ায় এখন তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারকে জানিয়ে ও ইতিবাচক কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি তাদের কাছ থেকে। সেই কারণে আগামী দিনে আন্দোলন যেমন চলছে তেমনি চলবে। যতক্ষণ না সরকারের তরফে ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে ততদিন তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। রাজ্যের প্রায় প্রত্যেকটি ব্লকে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
একদিকে পার্শ্ব শিক্ষকদের আন্দোলন, অন্যদিকে এই ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের আন্দোলন, সবমিলিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বাজেট পেশ করার সময় পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেও আপাতত ১০০ দিনের কাজের কর্মীদের নিয়ে সেইভাবে কোন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য সরকার। তাই সে ক্ষেত্রে এই আন্দোলনযে ভবিষ্যতে বড় রকমের আন্দোলনে পরিণত হবে না এখন থেকে হলফ করে বলা সম্ভব নয়।