কলকাতা: উচ্চমাধ্যমিকে ফলাফল নিয়ে অসন্তোষের জেরে রাজ্য সরকার মহকুমা শাসক এবং ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকদের স্কুলগুলিতে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে। কোন স্কুল থেকে কতজন পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে জেলাশাসকদের তার বিস্তারিত তালিকা পাঠানোর কথা বলা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ যে পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল রয়েছে বিক্ষোভরত ছাত্র-ছাত্রীদের সেই কথা বোঝাতে হবে বলেও জেলাশাসকের বলা হয়েছে। মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী আজ বিদ্যালয় শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনের সঙ্গে আরও এক দফায় বৈঠক করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। উল্লেখ্য, চলতি বছর আঠারো হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিকে অকৃতকার্য হয়েছে। এর জেরে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ চলছে।
এদিকে, এই ইস্যুতে পদক্ষেপ নিয়েছে শিক্ষা দফতর। জেলাশাসকদের চিঠি পাঠানো হয়েছে তাঁদের তরফে। সূত্রের খবর, এদিন শিক্ষাদপ্তরের তরফে উচ্চ মাধ্যমিক সংসদকে সক্রিয় হতে নির্দেশ দিয়েছে স্কুল শিক্ষাদপ্তর। রাজ্য পড়ুয়াদের স্বার্থে ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছে। এদিন আবার নাকতলার আনন্দ আশ্রম বালিকা বিদ্যালয়ে ছাত্রী বিক্ষোভ হয়৷ উচ্চমাধ্যমিকে অকৃতকার্য ছাত্রীদের একাংশকে পাশ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগে উত্তপ্ত হয় স্কুল চত্বর৷ অভিযোগ উচ্চমাধ্যমিকে ২৬ জন অকৃতকার্য হয়েছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বদলে গিয়েছে তাঁদের মার্কশিটের নম্বর৷ রাতারাতি কী ভাবে এই নম্বর বদল হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ছাত্রীরা৷ অন্যদিকে শ্যামবাজার এভি স্কুলেও চলে ছাত্র বিক্ষোভ৷ ডোমকলেও উচ্চমাধ্যমিকে কম নম্বর পাওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা৷ রায়পুর হাইস্কুলে চলে ভাঙচুর৷
আরও পড়ুন- উচ্চমাধ্যমিক: পড়ুয়াদের বিদ্রোহ, অবিলম্বে সংসদকে পদক্ষেপের নির্দেশ নবান্নের
এই ঘটনায় বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই বিক্ষোভ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছাত্রছাত্রীরা করছে এবং এটা রাজনৈতিক বিক্ষোভ নয় এবং বিজেপি তৈরি করেনি। সংসদের সঙ্গে স্কুলের যোগাযোগের অভাব এবং সার্বিক ব্যর্থতার কারণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, সরকার যদি এই পরিস্থিতি সামাল না দিতে পারে এবং ছাত্র ছাত্রীদের বিক্ষোভ প্রশমিত না করতে পারে তাহলে সেটা চূড়ান্ত লজ্জাজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক।