কলকাতা: গতকাল কোচবিহারের শীতলকুচিতে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গিয়েছে তা নিয়ে রাজনৈতিক সংঘাতের শেষ নেই। গতকালের ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন রাস্তায় নামলেন বিশিষ্টজনরা। একদিকে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা নেতৃত্বে বাগবাজারের প্রতিবাদ সভা এবং অন্যদিকে ধর্ম তলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে রাজ্যের অন্য এক মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বিশিষ্টজনরা। সেই প্রতিবাদ সভায় দেখা যায় কবীর সুমনকেও।
শীতলকুচি কাণ্ডের প্রতিবাদে যারা আজকের কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন তাদের হাতে একাধিক প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। যার কোনটায় লেখা, “এই গণহত্যার তীব্র ধিক্কার জানাই”, কোনটায় লেখা, “বহিরাগত বাহিনীর গুলিতে চলে গেল হচ্ছে আর বাঙালির প্রাণ।” এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অন্য এক বিদায়ী মন্ত্রী তথা চন্দননগরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেন, উপস্থিত ছিলেন শুভা প্রসন্ন। অন্যদিকে বাগবাজারে শশী পাঁজা যার নেতৃত্বে কালো ব্যাজ পড়ে সকলে গতকালের ঘটনার প্রতিবাদ জানান এবং একইসঙ্গে মোমবাতি দিয়ে মৃতদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। অন্যদিকে আজই দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালের ঘটনার প্রতিবাদে বর্ধমানে রোড শো করেন, গলায় কালো উত্তরীয় এবং হাতে মোমবাতি নিয়ে। গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, শীতলকুচির ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ডাক দেবে তৃণমূল কংগ্রেস এবং প্রত্যেকটি জেলার ব্লকে ব্লকে কালো ব্যাজ করে প্রতিবাদ মিছিল বের হবে। সেই মতই আজ বর্ধমানে রোড শো করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকালেই তিনি মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানিয়ে দিয়েছেন যে, প্রার্থী হিসেবে ভোট করার পর যে অর্থ পাবে তা থেকে নিহতদের পাশে দাঁড়াবেন তিনি।
আজই ভিডিও কলে গতকালের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহত মনিরুল হক এবং শেখ হামিদুলের দাদার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলিয়ে দেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। ভিডিও কলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাদের বলতে শোনা যায়, ভোট দেওয়ার জন্য বুথের বাইরেই দাঁড়িয়েছিল তারা। সেই সময় একদল কেন্দ্রীয় বাহিনী হঠাৎ এসে গুলি চালায় এবং পালিয়ে যায়। এই প্রেক্ষিতে তাদের প্রশ্ন, ভোট দিতে এসে যদি তাদের এই ভাবে মরতে হয় তাহলে এই আইন কিসের জন্য।