কলকাতা: বিএসএফ ইস্যুতে বিধানসভায় ভোটাভুটি হল আজ এবং বিরোধী প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল। ভোটাভুটিতে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ল ১১২ টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়ল ৬৩ টি। অবিলম্বে বিএসএফের সীমানা ভিত্তিক নজরদারির ক্ষেত্রে সীমানা না বৃদ্ধির করে বর্তমান ব্যবস্থাকেই চালু রাখার ও বিঞ্জপ্তি প্রত্যাহার দাবি জানিয়ে সর্বদল প্রস্তাব পেশ করা হয়, যা পেশ করেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই প্রস্তাবই পাশ হয়ে গেল। তবে এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারের নিন্দা করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি তীব্র সমালোচনা করেন।
এদিন শুভেন্দু বলেন, তিনি এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছেন। যুক্তরাষ্টীয় পরিকাঠামো নিয়ে কেন্দ্র রাজ্যের বিষয় নিয়ে কোনও কথা বলেনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা নিজে ঘুরে গিয়েছেন, কী কথা হয়েছে তারা জানেন না। তবে বিএসএফ মানে যে সংজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে তা বেদনাদায়ক। তাঁর কথায়, যুক্তরাষ্টীয় পরিকাঠামো নিয়ে কেন্দ্র রাজ্যের আলোচনা করতেই পারেন। কিন্তু বিএসএফ জঙ্গল মহল থেকে সিআরপিএফ তুলে নিলে হই হই করা হয়। কেন্দ্র ও রাজ্যের সমন্বয় রেখে কাজ করা উচিৎ। তাঁর অভিযোগ, বিএসএফ নিয়ে যে ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক। তিনি আরও বলেন, পুলিশের ক্ষমতা কোথাও খর্ব করা হয়নি, যেমন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলছেন।
এদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিএসএফ ইস্যুতে বলেন, যাঁরা দেশকে ভালোবাসেন তাঁর এই প্রস্তাব সমর্থন করবেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীকে একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছিল, সেই কারণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব বৈঠক করে গিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা দেশে একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। দেশের মানুষের কথা বা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর কথা বলা হলেও রাজ্যের সঙ্গে কথা না বলে এক তরফা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। তিনি এও মনে করিয়ে দেন, রাজ্যের অনুমোদন ছাড়া কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢূকতে পারে না, এমন নির্দেশ আছে সুপ্রিম কোর্টের। একই সঙ্গে তিনি আরও ব্যাখ্যা করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের অপব্যবহার করে পেছন থেকে ঢোকার চেষ্টা করছে। রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব করার যে বিজ্ঞপ্তি, সেই বিজ্ঞপ্তিই খারিজ করা হচ্ছে। আর ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে সেখানকার মানুষের ভাষাই রপ্ত করতে পারেনি বিএসএফ। ৫০ কিলোমিটার কী ভাবে সামলাবেন তারা, তাই সীমান্তবর্তী এলাকা বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তির বিরোধিতা করা হচ্ছে।