চপশিল্প নিয়ে গবেষণার ‘গাইড’ করা অধ্যাপককে বহিষ্কার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের

চপশিল্প নিয়ে গবেষণার ‘গাইড’ করা অধ্যাপককে বহিষ্কার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের

কলকাতা: গবেষণার বিষয় হল চপশিল্প৷ এই বিষয়ে এক ছাত্রীকে ‘গাইড’ করছিলেন অধ্যাপক তাপস পাল৷ তাঁকেই এবার বরখাস্ত করল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। অনির্দিষ্টকালের জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারবেন না বলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ অভিযুক্ত অধ্যাপককে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করলেন পড়ুয়ারা।

ঠিক কী ঘটেছে? রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল বিভাগের অধ্যাপক তাপস পালের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন তাঁর স্ত্রী ময়ূরিকা রায়। তিনি আবার রায়গঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়েরই আইন বিভাগের অধ্য়াপিকা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ২২ ডিসেম্বর রাতে রায়গঞ্জ থেকেই অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর পরেই তাপস পালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গেটের বাইরে পড়ুয়াদের আন্দোলন চলার মাঝেই অধ্যাপক তাপস পালকে নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য়রা। তাঁকে শুধু বরখাস্ত করাই নয়, বৈঠকে অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের উপরেও অর্নির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, ‘উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। পড়ুয়ারা যাতে কোনও রকম সমস্যায় না পড়েন, সে বিষয়টির উপর নজর রাখছেন বিভাগীয় প্রধান’।

মুখ্যমন্ত্রী যে চপশিল্পের কথা বারবার বলেছেন, সেই চপশিল্প নিয়েই গবেষণা করেছেন মালদহের কণা সরকার। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল বিভাগের ছাত্রী কণাকে তাঁর গবেষণার বিষয়ে গাইড করেছিলেন অধ্যাপক তাপস পাল। তাঁদের গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, চপ, তেলেভাজা বিক্রি করে মহিলারা মাসে ৯ হাজার টাকা এবং আর পুরুষদের মাসিক ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।