কোভিডের সঙ্গে জ্বালানির ‘জ্বালা’, সমস্যায় অ্যাপ-ক্যাব চালকরা, বিক্ষোভ

কোভিডের সঙ্গে জ্বালানির ‘জ্বালা’, সমস্যায় অ্যাপ-ক্যাব চালকরা, বিক্ষোভ

কলকাতা: কোভিড মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধ চালু আছে। এই বিধিনিষেধ মেনেই ওলা-উবের সহ বিভিন্ন অ্যাপ ক্যাব গুলি তাদের পরিষেবা চালু রেখেছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে জ্বালানি তেলের দাম ও অ্যাপ ক্যাব কোম্পানিগুলির খামখেয়ালীপনার কারনে অ্যাপ ক্যাব চালকদের খুবই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই সময় সার্ভিস চালু রাখতে গিয়ে অনেক ড্রাইভার সংক্রমিত হয়েছেন। অনেকবার বলার পরও অ্যাপ ক্যাব কোম্পানি গুলি ড্রাইভারদের কোভিড বীমার অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এমন অভিযোগ তুলে  KOLKATA OLA UBER APP CAB OPERATOR AND DRIVERS UNION CITU-এর পক্ষ থেকে রাজ্যের পরিবহন সচিবে কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হল।

তাদের বক্তব্য, গাড়ি নিয়মিত চলছে না কিন্তু (ই এম আই) দেওয়ার জন্য ফাইনেন্স কোম্পানিগুলির চাপ দিচ্ছে অনবরত। রাজ্য সরকার গত বছর রোড ট্যাক্স ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছিল, এই বছর সেই ঘোষণা নেই, ফলত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। এই অবস্থায় তাদের ইউনিয়নের সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে জমায়েত হয়ে পরিবহন ভবন যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ মিছিল করতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এরপর তাঁরা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন এবং ৩ জনের প্রতিনিধি দল পরিবহন ভবনে গিয়ে ডেপুটেশন দেয়। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন CITU রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক অনাদি সাহু। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার অবিলম্বে পেট্রোল ডিজেলের উপর থেকে ট্যাক্স কমাক। রোড ট্যাক্স ছাড় দিক। ওছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়নের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, ইউনিয়নের সম্পাদক মহঃ মনু, মানষ চৌধুরী, শেখ আজম।

আরও পড়ুন- উচ্চ প্রাথমিক: শুরু হচ্ছে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া, গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা ব্রাত্যের

তাদের মূল দাবি, ১) আগামী ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত রোড ট্যাক্স, সি এফ এর ফাইন, ছাড় দেওয়া হোক। ২) ফাইনেন্স কোম্পানি গুলি যাতে জুলুম না করে সেই বিষয়ে সরকার হস্তক্ষেপ করুক। ৩) পেট্রোল ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যাবস্থা গ্রহণ করুক। ৪) অ্যাপ ক্যাব কোম্পানির খামখেয়ালী বিরুদ্ধে সরকার ব্যাবস্থা গ্রহণ করুক। যাতে ড্রাইভারদের আই ডি বন্ধ না করে। ৫) অ্যাপ ক্যাব কোম্পানিগুলির সর্বোচ্চ ২০% কমিশন নেওয়ার কথা সেখানে কোম্পানিগুলি ২৫% কমিশন নিচ্ছে এই বিষয় সরকার দ্রুত হস্তক্ষেপ করুক। ৬) শহর কলকাতা সহ বিভিন্ন যায়গায় পুলিশের হয়রানি বন্ধ হোক। তাদের স্পষ্ট কথা, আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে তাঁরা আরো বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine + 12 =