আমফানের টাকা ‘লুট’ শাসক নেতার! তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে রণক্ষেত্র দেগঙ্গা

ফের আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে দেগঙ্গায়। আমফান ঝড়ের ক্ষতিপূরণের টাকা বণ্টন নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে বলে খবর। অভিযোগ আমফানের টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়ার ব্যাপারে দুর্নীতি করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে দফায় দফায় ভাঙচুর চালানো হয়। করা হয় ইটবৃষ্টিও। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর গোটা ঘটনার জন্য তৃণমূলের উপর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা এবং বিরোধী দল।

 

দেগঙ্গা: ফের আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে দেগঙ্গায়। আমফান ঝড়ের ক্ষতিপূরণের টাকা বণ্টন নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে বলে খবর। অভিযোগ আমফানের টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়ার ব্যাপারে দুর্নীতি করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে দফায় দফায় ভাঙচুর চালানো হয়। করা হয় ইটবৃষ্টিও। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর গোটা ঘটনার জন্য তৃণমূলের উপর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা এবং বিরোধী দল।

বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটেছে দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের চাকলা বাজার এলাকায়। সংঘর্ষ চলাকালীন এক তৃণমূল কর্মী ফারুকুজ্জামান ওরফে বাবলুর মিষ্টির দোকানের উপর ইটবৃষ্টি করা হয় ও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মণ্ডলের সমর্থক ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মহিদুল হক সাহাজির মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় সূত্রে আরও খবর, বিধায়ক রহিমা মণ্ডলের সর্মথকরা অর্থাৎ চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য আবদুল করিম, শেখ নজরুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন সহ অনেকে চাকলা বাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে বসে আলোচনা করছিল। অভিযোগ, তখনই মফিদুল হক সাহাজির সমর্থরা চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতে হানা দেয়। এই দলের মধ্যে ছিল সাহাজির সমর্থক বাগবুল ইসলাম, আফতাব মণ্ডল সহ আরও অনেকে। তৃণমূলের পার্টি অফিসে আচমকাই হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পার্টি অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগও উঠেছে। 

আরও পড়ুন: অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে ব্যাপক বোমাবাজি, উত্তপ্ত জগদ্দল

ঘটনায় বিধায়কের সমর্থকদের ৭ জন আহত হয়েছে বলে খবর। আহতদের দেগঙ্গা বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে পঞ্চায়েত সদস্য আবদুল করিম মণ্ডল অভিযোগ জানিয়েছেন, আমফানের ক্ষতিপূরণের জন্য যে লক্ষ লক্ষ টাকা এসেছিল, তা আত্মসাৎ করেছে বাগবুল ইসলাম ও আফতাব মণ্ডলরা। তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা সেই টাকার লিখিত হিসাব চেয়েছিলেন পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে। এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগও করা হয়। ঘটনায় জেলা সভাপতি অভিযুক্তদের সোকোজ করেন। তার বদলা হিসাবেই অভিযুক্তরা তাঁদের উপরে হামলা চালায় এবং পার্টি অফিস ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ আবদুল করিম মণ্ডলের। 

তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য বাগবুল ইসলাম। তাঁর পালটা অভিযোগ, আমফান ঝড়ের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ চার লক্ষ টাকা এসেছিল। আবদুল করিম, শেখ নজরুল, জামাল উদ্দিনরা সেই টাকা তছরূপ করেছে। তাঁরা প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন। ফলে তাঁদের মারধর করা হয়। এরপর আবদুল করিম, শেখ নজরুল, জামাল উদ্দিনরা নিজেরাই পার্টি অফিস ভাঙচুর করে তাঁদের উপর দোষ চাপানো হয়। এদিকে ঘটনার পর বারাসাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর দেগঙ্গা থানার পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। গতকাল রাতেই দেগঙ্গা থানার পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ঘটনায় অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনকে আটক করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন দেগঙ্গা থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 − 2 =