কলকাতা: ব্যাঙ্কের নথি সংক্রান্ত গোলমাল সহ অন্যান্য কারণের জেরে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে যে সব মহিলার অ্যাকাউন্টে এখনও টাকা ঢোকেনি তারা যাতে দ্রুত ওই প্রকল্পের অর্থ সাহায্য পান তার জন্য রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে। মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী আজ সন্ধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। সেখানে তিনি ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এ বিষয়ে যাবতীয় সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
ষষ্ঠীর বিকেলেই ৮০ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায় ‘লক্ষ্মী ভাণ্ডার’ প্রকল্পের টাকা। শারদোৎসব উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের এই উপহার দিয়েছিলেন বলেই দাবি করেছিল নবান্ন। সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর ২ মাসের টাকাই দেওয়া হয়েছে। এতে রাজ্য সরকারের ৮৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৫৯ লক্ষ মহিলার আবেদন পত্র ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে ৮০ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌছে গেছে। নির্বাচনী আচরণ বিধির কারণে কোচবিহার, নদীয়া, এবং উত্তর ২৪ পরগণায় এই টাকা দেওয়া যায়নি। নির্বাচন না থাকলে বাকি মহিলাদের অ্যাকাউন্টেও টাকা পৌছে যেত। তবে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভোটের পর নভেম্বর মাসে এই জেলাগুলির আবেদনকারীরা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের’ টাকা পাবেন। তখন তাঁরা সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের টাকাও এক সঙ্গেই পেয়ে যাবেন।
প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার প্রথম পর্যায়ে ২ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল। মোট বাজেট বরাদ্দ ১৭ হাজার কোটি টাকা। এই প্রকল্প ঘোষণা করার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, পুজোর আগেই যেন বাড়ির মহিলাদের হাতে টাকা পৌছে যায়। সেই মতো এই উদ্যোগ নিয়েছে সমাজ কল্যাণ দফতর। উল্লেখ্য, প্রথমে বলা হয়েছিল স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকলে পরিবারের প্রধান মহিলা প্রকল্পের সুবিধা পাবেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও পরিবারের অন্যান্য মহিলারাও এই সুবিধা পাবেন৷