যিনি চুপ ছিলেন, যার ইশারায় অত্যাচার হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই: প্রিয়াঙ্কা

যিনি চুপ ছিলেন, যার ইশারায় অত্যাচার হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই: প্রিয়াঙ্কা

কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনে ৫৮ হাজারেরও বেশি ভোটে হেরেছেন তিনি। কিন্তু গত ৪ মাসে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর জন্যই আদালতে বড় ‘জয়’ পেয়েছে বিজেপি! এই যুক্তিতেই ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কা টেবরিওয়ালকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। বিধানসভায় বিরাট ব্যবধানে হারলেও ভবানীপুরে জয়ের ব্যাপারে ব্যাপক আশাবাদী প্রিয়াঙ্কা। কারণ তিনি জানালেন, তাঁর লড়াই বাংলাকে বাঁচানোর জন্য। 

আরও পড়ুন- আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে ফের ত্রিপুরা সফরে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রিয়াঙ্কা এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, তিনি এই লড়াই শুধুমাত্র একজনের বিরুদ্ধে লড়ছেন না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছেন, যাতে বাংলার মানুষ ন্যায় পায়। তিনি দাবি করেন, এই লড়াইয়ের প্রমাণ তিনি গত ৪ মাসে সকলের সামনেই রেখেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, তাঁর লড়াই অত্যাচারের বিরুদ্ধে, বাংলার মানুষকে বাঁচানোর লড়াই। আর সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধেও যিনি চুপ ছিলেন, যার ইশারায় অত্যাচার হয়েছে, কোনও পদক্ষেপ নেননি। কিন্তু তিনি ভুলে গিয়েছিলেন যে, যাদের ওপর তিনি অত্যাচার করছেন তারাও বাংলার মানুষ। প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য, মমতা একটি দলের মুখ্যমন্ত্রী নন, গোটা বাংলার। তিনি তাঁর দায়িত্ব ছিল অত্যাচার আটকানোর, কিন্তু তা তিনি করেননি। এইসব বিরুদ্ধেই তিনি লড়াই করছেন। 

আরও পড়ুন- ভোজ্য তেলে ভেজাল আটকাতে বড় উদ্যোগ রাজ্যের

এদিকে, কেন প্রিয়াঙ্কা টেবরিওয়ালকে প্রার্থী করা হল সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সোমনাথবাবুর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন তখন তাঁকে কেউ চিনত না। সেই মমতা তাঁকে হারিয়ে আজ এই জায়গায় এসেছেন। প্রিয়াঙ্কা দলের লড়াকু নেত্রী এবং তাঁকে সামনে রেখেই দল নির্বাচন লড়বে বলে জানান তিনি। এই প্রসঙ্গে হাস্যরসে তাঁর কটাক্ষ, হারা প্রার্থীর বিরুদ্ধে হারা প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি দিলীপ আরও বলেন, যে কোনও নির্বাচন বিজেপি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই লড়ে। দলের কোনও নেতা হোক, বা দলের কর্মী, তিনিই দলের মুখ হন এবং তাঁর পিছনে গোটা দল থাকে। একই সঙ্গে তারকা প্রচারকদের প্রসঙ্গেও কথা বলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *