কলকাতা: দিদির বিরুদ্ধে আর এক দিদিকে দাঁড় করিয়ে লড়াই জমিয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ ঘটনাচক্রে, দু’জনেই আইনজীবী৷ ফারাক, একটাই একজন প্রাক্তন৷ আরেকজন এখনও এজলাসে সওয়াল জবাব করেন৷
হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর হতে চলা উপ নির্বাচনের হটস্পট ভবানীপুরের কথায় বলা হচ্ছে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের লড়াইকে কেন্দ্র করে ক্রমেই গরম হচ্ছে ভবানীপুরের মাটি৷ রবিবার সকালে ছুটির দিনের প্রচারে বেড়িয়ে চা চক্রেও যোগ দিতে দেখা গেল প্রিয়ঙ্কাকে। প্রসঙ্গত, প্রিয়ঙ্কাকে ভোটের ময়দানে ‘বাচ্চা মেয়ে’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী তথা তৃণমূলের দাপুটে নেতা ফিরহাদ হাকিম৷
যার জবাবে এদিন শুভেন্দুর স্টাইলে ‘নন এমএলএ চিফ মিনিস্টার’ বলে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, ‘‘কে বাচ্চা সেটা ভোটের ময়দানে মানুষ দেখিয়ে দেবে৷’’ খানিক থেমে যোগ করেছেন, ‘‘আমিও হেভিওয়েট৷’’ ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, প্রিয়ঙ্কা রাজনীতিতে নতুন এসেছেন, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই৷ কারণ, আসানসোলের সাংসদ বাবুল সপ্রিয়র আইনি পরামর্শদাতা প্রিয়ঙ্কা সেই ২০১৪ সাল থেকেই বিজেপিতে রয়েছেন৷ ছিলেন দলের যুবর গুরুত্বপূর্ণ পদেও৷ তাছাড়া পেশাগতভাবে তিনি শুধু একজন আইনজীবী নয়, সাম্প্রতিক অতীতের বাংলার প্রতিটি রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল৷
তারই আভাস এদিন প্রিয়ঙ্কার কন্ঠে ফুটে উঠেছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে প্রাতঃভ্রমণকারীদের সঙ্গে কথা বলার সময়৷ মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করে সরাসরি বলেছেন, “গোটা দেশে কোভিড পরিস্থিতি। রাজ্যেও করোনা সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নয়। সমস্ত জায়গায় কোভিড আছে, শুধু কি ভবানীপুরে নেই? তাহলে এখানে কী ভাবে নির্বাচন হচ্ছে?’’ জবাবও দিয়েছেন নিজেই, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে মমতাকে রাখতেই করোনা পরিস্থিতিতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে নির্বাচন হচ্ছে।”
যেভাবে প্রার্থীপদে নাম ঘোষণার পরই কালক্ষেপ না করে প্রিয়ঙ্কা ফেসবুক ওয়াল থেকে লাইভ-প্রচার শুরু করেছেন এবং মাটি কামড়ে পড়ে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, তাতে নিজের পদক্ষেপের মধ্যে দিয়েই নিডজের হেভিওয়েটের প্রমাণ রাখছেন প্রিয়ঙ্কা- বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরাও৷