বুদ্ধিতে বাজিমাত! মাত্র আড়াই বছর বয়সে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠল বাঁকুড়ার প্রিয়মের

বুদ্ধিতে বাজিমাত! মাত্র আড়াই বছর বয়সে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠল বাঁকুড়ার প্রিয়মের

বাঁকুড়া:  বয়স তার মাত্র আড়াই৷ এখনও স্পষ্টভাবে বুলিটাও ফোটেনি। তবে বুদ্ধিতে অনেককেই হার মানায় এই একরত্তি৷ আধো-আধো গলাতে অনায়াসে গেয়ে ফেলে ভারতের জাতীয় সংগীত। আবার ২০ থেকে উল্টোদিকে ১ পর্যন্ত বলে চলে গড়গড়িয়ে৷ শুধু তাই নয়, ঠোঁটস্থ ভারতের সমস্ত রাজ্যের নাম৷ মাত্র আড়াই বছর বয়সে অসাধারণ স্মৃতিশক্তিকে অনবদ্য সাফল্যে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলে ফেলল বাঁকুড়ার আড়াই বছরের খুদে প্রিয়ম চক্রবর্তী৷ বুদ্ধিতেই করল বাজিমাত৷

আরও পড়ুন- প্রকাশ্য দিলীপ-সুকান্ত দ্বন্দ্ব, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন রাজ্য বিজেপি’র অন্যতম মুখপাত্র

প্রিয়ম বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের বারবাকড়ার বাসিন্দা৷ আড়াই বছরের খুদে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে জায়গা পেতেই আনন্দের মেতে ওঠে গোটা এলাকা৷ খুশি বাধ মানছে না প্রিয়মের বাবা-মায়ের। প্রিয়ম প্রতীক চক্রবর্তী ও সুপর্ণা চক্রবর্থীর একমাত্র সন্তান৷ প্রতীকবাবু ডিস্ট্রিবিউটরের কাজ করেন৷ তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা গৃহবধূ। একেবারে ছাপোষা মধ্যবিত্ত পরিবার তাঁদের। সেই সাদামাটা জীবনেই একরাশ আলো নিয়ে এসেছে প্রিয়ম৷ ছেলের স্মৃতিশক্তি যে প্রখর তা ছোট থেকেই লক্ষ্য করেছিলেন চক্রবর্তী দম্পতি৷ তবে ছেলের নাম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস তোলার জন্য বিশেষ কোনও উদ্যোগই নেননি তাঁরা৷ বলা ভালো বিষয়টি মাথাতেই আসেনি তাঁদের৷ বরং সন্তানের স্মৃতিশক্তিতে তাঁরা অবাক হয়েছেন৷ 

প্রিয়মের বাবা প্রতীক চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘ওকে একবার যেটা বলি সেটাই মনে রাখতে পারে৷ বাইকের নম্বর প্লেট কিছু না বুঝেই পড়ে ফেলেছিল প্রিয়ম। সেটা দেখেই আশ্চর্য হই। তারপর দেখি, ওকে একবার কিছু বলে দিলে সেটা একেবারে মাথায় গেঁথে নেয়। পরে জিজ্ঞাসা করলে একেবারে সঠিক উত্তর দেয়। ও স্মৃতিশক্তি প্রখর।” এরপরই প্রিয়মকে  মুখে-মুখে পড়াতে শুরু করেন প্রিয়মের মা৷ কিন্তু, তিনি নিজেও বুঝতে পারেননি এত তাড়াতাড়ি এতকিছু আয়ত্ত করে নেবে একরত্তি ছেলেটা৷

এই বয়সে কী না পাড়ে প্রিয়ম! ১ থেকে ১০০ সোজা ও উলটো গণনা, নামতা, রাজ্যের নাম, রাজধানীর নাম, জাতীয় সঙ্গীত সবকিছু তার ঠোঁটের গোড়ায়। প্রতীক-সুপর্ণা তো বটেই, খুদের এই স্মৃতিশক্তি দেখে অবাক হয়ে যান প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজনেরাও। তবে তখনও ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস তার নাম তোলানোর কথা কারও মাথায় আসেনি। হঠাৎ কদিন গুগল-এ এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে সুপর্ণার। সেটা দেখেই তিনি প্রতিযোগিতায় ছেলের নাম দেওয়ার জন্য মনস্থির করেন। সুপর্ণার কথায়, ‘‘গত মে মাসে গুগল-এ স্ক্রল করতে-করতে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এর একটি নোটিশ নজরে আসে৷ তৎক্ষণাৎ আবেদন জানাই। তবে ভাবতে পারিনি, আমার ছেলে নির্বাচিত হবে। আমি খুব খুশি ও গর্বিত বোধ করছি।’’