কলকাতা: কয়লা ও গোরু পাচারকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে বেড়েছে সিবিআইয়ের তৎপরতা। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে উচ্চ পদস্থ পুলিশ অফিসার, ইতিমধ্যে সকলকেই পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কোপে। গোরু পাচারকে ঘিরে রাজ্যে বড়সড় চক্র বেড়ে উঠেছে বলেই দাবি করেছেন তাঁরা। ভোটের আগে তাই এই ঘটনা নতুন করে সৃষ্টি করেছে চাঞ্চল্য।
সিবিআইয়ের গোরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে এবার আর কোনো ব্যক্তি নয়, উঠে এসেছে রাজ্যের বেসরকারি এক মেডিকেল কলেজের নাম। রাজ্যের কয়লা ও গোরু পাচারের টাকা দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। আর তার জেরেই সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজে শুরু হয়েছে সিবিআইয়ের নজরদারি। সূত্রের খবর, খতিয়ে দেখা হচ্ছে ওই সংস্থার বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের তথ্য।
দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের খুঁটিনাটি তথ্য খতিয়ে দেখতে গিয়ে সিবিআই কর্তাদের হাতে এসেছে গুরুতর অভিযোগ। জানা গেছে, ওই মেডিক্যাল কলেজে মোট ৪ জন বিনিয়োগকারী রয়েছেন। তার মধ্যে অন্তত ১ জন ভুয়ো। গোরু বা কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তির হয়েই টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে অনুমান করছেন গোয়েন্দারা। জোর কদমে চলছে তদন্ত। দুর্নীতির গোড়া পর্যন্ত পৌঁছতে সিবিআইয়ের এই সক্রিয়তা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই কয়েক মাস ধরে গোরু ও কয়লা পাচার চক্রের তদন্তে অনেকদূর পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে সিবিআই। গ্রেফতার করা হয়েছে গরুপাচারের পান্ডা এনামুল হককে। এছাড়া সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (BSF) একাধিক আধিকারিককেও গ্রেফতার করেছেন তাঁরা। এমনকি আসানসোলের কয়লা খনিতে নেমেও তদন্ত চালানো হয়েছে। পাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে জারি হয়েছে লুকআউট নোটিশ। এবার কয়লা ও গোরু পাচারের টাকা কোথায় গেল তা জানতেই উঠে পড়ে লেগেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।