তমলুক: বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো! বহুল ব্যবহারে জীর্ণ এই প্রবাদটাই ফের সামনে আনল মঙ্গলবার তমলুকে বন্দি পালানোর ঘটনা৷ মেদিনীপুর জেল থেকে তমলুকে নিয়ে যাওয়ার আগে বন্দীদের কি পর্যাপ্ত চেকিং করা হয়েছিল? গাড়িতে পর্যাপ্ত নজরদারি ছিল? চলন্ত গাড়ি থেকে দু’জন বন্দি পালিয়ে গেল, অথচ কেউই কি তার টের পেলেন না? এমনই হাজারো প্রশ্ন উঠে আসছে৷ সূত্রের খবর, বন্দি পাহারার দায়িত্বে থাকা রক্ষীদের বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
কারণ, এই প্রসঙ্গেই দু’বছর আগের কাঁথি আদালতের প্রসঙ্গ টেনে আনছেন একাংশ পদস্থ আধিকারিকেরা৷ পুলিশ সূত্রের খবর, দু’বছর আগে কাঁথি আদালত থেকে বোম্ব মেরে এবং গুলি চালিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন চার বন্দি৷ কর্ণ বেরা, শেখ মুন্না এবং শেখ রফিক পরে ধরা পড়লেও সুরজিৎ গুড়িয়া আজও ফেরার৷ ওই ঘটনায় বন্দিদের সঙ্গে জেল রক্ষীদের যোগসাজসের অভিযোগ সামনে এসেছিল৷ এক্ষেত্রেও তেমন কিছু আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রের খবর৷
যদিও তমলুকের এসডিপিও অতীন বিশ্বাস বলেন, ‘‘কি কারণে এমন ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ তবে সবার আগে আমরা পালিয়ে যাওয়া বন্দীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযানে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছি৷’’ দুপুর থেকেই কার্যত সমগ্র জেলা সিল করে সড়ক ও জলপথে নাকাচেকিং শুরু করেছে পুলিশ৷ এদিকে পুলিশের একটি সূত্র থেকে দাবি করা হচ্ছে যে বন্দীদের পিছু ধাওয়া করেও তাদের ধরা যায়নি৷ যদিও ওই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন স্বয়ং গাড়ির চালক পঙ্কজ বাঙাল৷ তাঁর অকপট স্বীকারোক্তি, ‘‘জেলের টার্নিং নেওয়ার সময় দেখি গাড়িতে বন্দি নেই৷ ’’ স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, রক্ষীরা তাহলে কি করছিলেন? মেলেনি কোনও সদুত্তর৷ স্বভাবতই, কেচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে পুলিশের একাংশ কর্তাও৷