কলকাতা: উৎসবের মরশুম৷ দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজোর পর আজ ভাইফোঁটা৷ এই দিনটার অপেক্ষায় থাকে আপামর বাঙালি। কিন্তু, ভাইবোনেদের এই উৎসবে বাজার যে একেবারে আগুন। সবজি থেকে মাছ-মাংস— হাত দিলেই ছ্যাঁকা৷ বাজারে গিয়ে একেবারে নাকাল ক্রেতারা।
আরও পড়ুন- Breaking: টেটের জন্য গাইডলাইন প্রকাশ, একাধিকবার বসা যাবে পরীক্ষায়
শহরের বিভিন্ন বাজারে জিনিসপত্রের দাম শুনে চোখ কপালে ক্রেতাদের। ‘ফোরাম অব ট্রেডার্স অর্গানাইজেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক তথা বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে গঠিত রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলের কথায়, ‘‘প্রতি বছরই লক্ষ্মীপুজো থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত বাজার দর একটু বেশি থাকে। শীত পড়লে দাম কমে যাবে।’’
শহরের বাজারে বুধবার জ্যোতি আলুর দাম ছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি৷ আর চন্দ্রমুখী আলু ও পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৪০ টাকা। মানিকতলা বাজারে আসা এক ক্রেতার কথায়, ‘‘আলু আর পেঁয়াজের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এই দুটো আনাজের দামই আকাশ ছোঁয়া৷ দাম কমছেই না।’’ ওই বাজারের এক ব্যবসায়ীর কথায়, যে কুমড়ো দিনকয়েক আগে ৩০ টাকায় মিলেছে, আজ তা ৪০ টাকা৷ চড়া দাম পটল, ফুলকপি, টম্যাটো, কাঁচালঙ্কা, ঢেঁড়স, বেগুনের মতো আনাজের।
মঙ্গলবার মানিকতলা বাজারে খাসির মাংসের দাম ছিল ৭৮০ টাকা কেজি। বুধবার একলাফে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০০ টাকা। দাম বেড়েছে মুরগির মাংসেরও৷ ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে প্রতি কেজি মুরগি বিকোচ্ছে ২০০ টাকায়।
মাছের বাজারেও আগুন৷ শহরের বিভিন্ন বাজারে এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের দর ওঠেছে ১৫০০-১৮০০ টাকা কেজি। ছুটছে কাতলাও৷ ৩৫০ টাকা থেকে বেড়ে কেজি প্রতি কাতলার দাম হয়েছে ৪৫০ টাকা৷ পাঁচ কেজি ওজনের কাটা রুই-এর দাম ৩০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০০ টাকা। পাবদার দর বিকোচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়৷ ভেটকির দাম ৬০০-৭০০ টাকা।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাজ্যে টাস্ক ফোর্স রয়েছে ঠিকই৷ কিন্তু তা শুধুই নামে৷ নিয়মিতভাবে তারা বাজার পরিদর্শনে আসেন না। প্রশাসন সক্রিয় হলে জিনিসপত্রের দাম এত বাড়তে পারত না৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>