কলকাতা: এদেশেও কয়েক যায়গায় করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আইসিএমআর। এর পরিপ্রেক্ষিতে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে আগেভাগেই সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন যায়গা বা হটস্পট চিহ্নিত করে তা সম্পূর্ণ ভাবে সিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন।
মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রাজ্যে এখনো পর্যন্ত এমন দশটি হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে।ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও জীবন ধারণের সমস্ত ব্যবস্থা করার পর ওইসব জায়গাকে সম্পূর্ণভাবে লকডাউন করে দেওয়া হবে ।করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোন সমঝোতা হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি৷ হটস্পট, ক্লাস্টার মিলিয়ে ত্রিস্তরীয় বন্দোবস্ত রাখা হবে ৷ মুখ্যসচিব বলেন, এখনও সংক্রমণের হার তুলনামূলক কম৷ তবে, তাতেও রাজ্য সরকার খুব একটা সন্তুষ্ট নয়৷ তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে৷
করোনা হটস্পট গুলোকে বিচ্ছিন্ন করার ব্যবস্থাপনা নিয়ে এদিন তিনি বিভিন্ন পুরসভা, পুর নিগম ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ।গ্রামীণ এলাকায় যেসব হটস্পট রয়েছে সেখানে ব্লক, গ্রাম পঞ্চায়েত ও গ্রাম এবং শহর এলাকায় সংশ্লিষ্ট রাস্তা ও সংক্রমিত হওয়া এলাকাকে এই লক ডাউনের আওতায় আনা হবে বলে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন। এই সময় ওই এলাকা থেকে কোন মানুষ গ্রামের বাইরে যেতে পারবেন না বা বাইরের কোনো মানুষ গ্রামে আসতে পারবেন না।
খুব ছোট জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকা এই সব হটস্পট গুলিতে বসবাসকারী স্থানীয় মানুষদের আরও সচেতন হওয়ার পাশাপাশি কঠোরভাবে লক ডাউন মানতে প্রশাসনকে কড়া হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে ।তবে এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে যেন কোন ভাবেই আতঙ্ক না ছড়ায় সেই কারণে মুখ্য সচিব কোন হটস্পট এর নাম জানাতে চাননি ।উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার কোভিড সংক্রমণের ১১ টি হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজ্যে এখন পর্যন্ত এগারো পরিবারের ৬১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।যেসব যাবগায় এইরকম একাধিক ব্যাক্তি সংক্রমিত হচ্ছেন সেইসব যায়গাকেই হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে৷