পুরসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পিকে, এবারও আসবে সাফল্য?

পুরসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পিকে, এবারও আসবে সাফল্য?

কলকাতা: প্রথম চ্যালেঞ্জে তিনি সগৌরবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ফলাফল ৩-০। রাজ্যে বিজেপির গড়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কেন্দ্র খড়গপুর সদরে তাঁর প্রার্থীকে হারিয়ে জয় পেয়েছে তৃণমূল। করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ উপনির্বাচনেও জয় আসেনি জয় আসেনি বিজেপির। লোকসভা নির্বাচনের পর পদ্ম শিবিরে কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছিল উপনির্বাচনের হার।

তবে, নতুন বছরে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি প্রশান্ত কিশোর। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এন আর সি – আতঙ্ক এবং বিজেপির সাংগঠনিক কোলাহল উপনির্বাচনে তৃণমূলকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে।

কিন্তু, ২০২০ তে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে তৃণমূল এই বাড়তি সুবিধা পাবে কী? তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কলকাতায় সিএএ এবং এন আর সি নিয়ে বিজেপি বিরোধী কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, কলকাতায় সিএএ এবং এন আর সি-এর ভয়ে ভীত জনতা নেই, যে যাঁরা নিজের অস্তিত্ত্ব রক্ষা করতে ভোট দেবেন। সেক্ষেত্রে, গত পাঁচ বছরে তৃণমূলের পুর পরিষেবা বিবেচ্য হবে।

আপাতত, কলকাতা পুরসভার নির্বাচন 'পাখির চোখ' বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। পার্টির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব আপাতত, 'মিশন ২০২১' এর আগে ২০২০ তে 'অপারেশন কলকাতা'য় বেশি নজর দিয়েছে।

২০১৯ সালের শেষে 'পলিটিকাল স্ট্রাটেজিষ্ট'দের নিয়ে গোপন বৈঠক পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী ৪ মাস পুরসভা নির্বাচনেই মনোনিবেশ করবে পার্টি। নবান্ন দখলের আগে ছোট লালবাড়িতেই  মনোনিবেশ করতে চায় গেরুয়া শিবির।

সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রধানমুখ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-ই। পুরসভার কঠিন লড়াইয়ে ভোটারদের কাছে গেরুয়া শিবিরের একটাই মন্ত্র, “মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।” প্রচারে যে প্রধানমন্ত্রী আসতে পারেন, তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কোনও মেয়র পদ প্রার্থী নয়, মোদীকে সামনে রেখেই এগোতে চায় গেরুয়া শিবির।

কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০০ টি ওয়ার্ড টার্গেট করতে চায় বিজেপি। ইতিমধ্যে ৭০ ওয়ার্ডে সংগঠন মজবুত করার কাজ শুরু হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের উপর দাঁড়িয়ে কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকার ১১টি বিধানসভায় এগিয়ে বিজেপি। খাস কলকাতায় রাসবিহারী তে বিজেপি-ই এগিয়ে। পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, ৪৭টি ওয়ার্ডে বিজেপি এবং ৯৭টি ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়ে। সুতরাং, লড়াই যে জবরদস্ত হবে, তা বোঝাই যায়।

ইতিমধ্যে প্রশান্ত কিশোরও নিজের নিজের কাজ শুরু করেছে, দিদিকে বলো বা টক তো মেয়র প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা চলছে নিরন্তর। এলাকায় তৃণমূলের কাউন্সিলররা বাড়িবাড়ি পৌঁছচ্ছেন। ২০২০ যে ছোট লালবাড়ির দখল ধরে রাখা পিকের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *