ভাঙড়: পুরাতন চাকা লাগানো মিটার বদলে নতুন ডিজিটাল মিটার লাগানোর ব্যবস্থা করেছে বিদ্যুৎ দপ্তর। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে গ্রাহককে এই নতুন মিটার প্রদান করার কথা বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার। কেন্দ্রের দীন দয়াল উপাধ্যায় যোজনার মাধ্যমে তার ব্যবস্থা করেছে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা। অভিযোগ, ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা বিনামূল্যে মিটার না প্রদান করে গ্রাহককে ভয় ভীতি দেখিয়ে বা কারচুপি করার কথা বলে গ্রাহকদের থেকে মোটা টাকা নিচ্ছেন। এ নিয়ে ভাঙড় সাপ্লাইতে বেশ কিছু অভিযোগ জমা হয়েছে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এদিন বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার আধিকারিকরা কাশীপুর গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে গ্রাহকের সাথে কথা বলেন। গ্রাহকরা এ বিষয়ে তাঁদের ক্ষোভ উগরে দেন দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে।
কাশীপুর ভট্টাচার্য পাড়ার বাসিন্দা দেবরাজ ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘‘আমাকে ভুল বুঝিয়ে তিনশো টাকা নিয়ে গিয়েছে। যারা মিটার বদলে দিচ্ছে তাঁরা ঠগ, প্রতারক। ওদের কড়া শাস্তির দাবি করছি।’’ ক্যান্সার আক্রান্ত আনন্দ মোহন ঘোষের থেকেও তিনশো টাকা ভুল বুঝিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আনন্দের স্ত্রী কল্যানী ঘোষ এদিন বিদ্যুৎ আধিকারিক ঋত্বিক দেবের সামনে বলেন, ‘‘আমাদের বাড়িতে একজন ক্যান্সার আক্রান্ত মরণাপন্ন রোগী আছেন। আমি নিজেও বিছানায় শয্যাশায়ী। তারপরেও ছেলেগুলো বলে তিনশো টাকা না দিলে মিটার পাল্টাব না। মিটার না পাল্টালে এমন রিপোর্ট করব অফিসে যাতে আপনাদের অসুবিধায় পড়তে হবে।’’ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার অধীন ভাঙড় গ্রাহক পরিষেবার অধীন ১৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই এ ভাবে কয়েক লক্ষ টাকা বেআইনি ভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। বিদ্যুৎ কর্তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন৷