আলুর কেজি ৩০ টাকা, সবজিতে হাফ-সেঞ্চুরি বাংলায়! খাবে কী সাধারণ জনতা?

আলুর কেজি ৩০ টাকা, সবজিতে হাফ-সেঞ্চুরি বাংলায়! খাবে কী সাধারণ জনতা?

কলকাতা: করোনা মহামারীর জেরে জেরবার গোটা বিশ্ব৷ পিছিয়ে নেই দেশ৷ ব্যতিক্রম নয় বাংলা৷ করোনা সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘ লকডাউনের ঘোষণা হলেও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না করোনা সংক্রমণ৷ এই নিয়ে যখন সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন, আতঙ্কে দিন গুনছেন সাধারণ মানুষ, ঠিক তখনই গোপনে মুনাফা বাড়ানোর কারবার শুরু করেছে একদল ব্যবসায়ী৷ একদিকে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব, অন্যদিকে দীর্ঘ লকডাউন, লাগাতার তেলার দাম বৃদ্ধির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলার বাজারে আরও মহার্ঘ সবজি ও আলুর দাম৷

সবজির পাশাপাশি আলুর দাম বেড়েই চলেছে৷ লকডাউন ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এমনিতেই সব সবজির দাম বেশ চড়া৷ এবার তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আলুর দাম৷ শহর কলকাতার বাজারগুলিতে জ্যোতি আলুর দাম কেজিপ্রতি ২৮ থেকে ৩০ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে৷ চন্দ্রমুখি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে৷

আগে ২০ টাকা আলুর দাম ছিল৷ তা ধাপে ধাপে ২৮ টাকা হয়ে গিয়েছে আলুর দাম৷ আলুর দাম যদি এমন হয়, তাহলে অন্যান্য সবজির কী হবে? প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ ভুক্তভোগী জনতা৷ পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের দাবি এখন, ২৪০ টাকা পাইকারি রেট যাচ্ছে৷ ২৭ টাকা আলু কেনা পড়ছে৷ ২৮ টাকা কিনে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা৷ কী কারণে এত দাম বাড়ছে? জানেন না খুচরা বিক্রেতারা৷

সবজির বাজারে এখনও চড়া৷ পটল, ঝিঙের মতো সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কিলো দর ঘোরাফেরা করছে৷ সবজি যেমন চড়তে শুরু করেছে, পাশাপাশি সঙ্গ দিচ্ছে আলু৷ বিগত কয়েকদিন ধরে আলুর দাম ঊর্ধ্বমুখী৷ আদৌ আলুর দাম কমবে কি না, বলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা৷ এই সময়ে কেন আলুর দাম বাড়ছে তা নিয়েও বাড়ছে চিন্তা৷ বেলাগাম ভাবে আলুর দাম বাড়তে থাকলেও প্রশাসনের তরফে কোনও হেলদোল এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি৷ নেই কোনও নজরদারি৷ আর সেই সুযোগে বাড়ছে দাম, অভিযোগ সাধারণ ক্রেতাদের৷

বাংলার বিভিন্ন বাজারে ২৮ থেকে ৩০ টাকা কিলো দরে আলু বিক্রি হচ্ছে৷ আর তাতেই সাধারণ মধ্যবিত্ত জনতার পকেটে টান পড়তে শুরু করেছে৷ এমনিতেই দীর্ঘ লকডাউনের প্রভাবে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ৷ উপার্জন কমেছে৷ সংসার চালাতে পেশা বদল করেছেন বহু মানুষ৷ আগামী দিনগুলি কেমন ভাবে চলবে, তা নিয়ে যখন উদ্বিগ্ন সাধারণ মধ্যবিত্ত জনতা৷ সাধারণ মানুষ যখন জেরবার, তখন নিত্যপ্রয়োজনীয় আলুর দাম লাগামছাড়া বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তায় পড়েছে সাধারণ জনতা৷

২০১৪ সালে অগস্ট মাসে বাংলার বাজারে সর্বোচ্চ ২২ টাকায় কেজি দরে আলু কিনেছিলেন আমজনতা৷ দাম বৃদ্ধি হওয়ায় আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের বার্তা দেন তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু৷ ওই সময় দাম কিছুটা কমলেও আলুর দামের বাড়বাড়ন্ত আজও চলছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 5 =