মাঠেই পড়ে আলু, ২টাকা কেজি দরে চলছে বিক্রি

বাঁকুড়া: মাঠেই কাঁচা পোখরাজ আলু ২টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কোতুলপুর, জয়পুরের আলুখেতে কৃষকদের কাছ থেকেই এই তথ্য উঠে এল। কৃষকদের বক্তব্য, আলু ওঠার সময়ে যদি এই দর থাকে তাহলে কদিন পর এর দর কতটা নামবে সেটা ভাবতে পারেন? এখনও বহু কৃষক আলু তোলেননি। সেই আলু ওঠার পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। পোখরাজ তোলার মাঝেই

মাঠেই পড়ে আলু, ২টাকা কেজি দরে চলছে বিক্রি

বাঁকুড়া: মাঠেই কাঁচা পোখরাজ আলু ২টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কোতুলপুর, জয়পুরের আলুখেতে কৃষকদের কাছ থেকেই এই তথ্য উঠে এল। কৃষকদের বক্তব্য, আলু ওঠার সময়ে যদি এই দর থাকে তাহলে কদিন পর এর দর কতটা নামবে সেটা ভাবতে পারেন? এখনও বহু কৃষক আলু তোলেননি। সেই আলু ওঠার পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।

পোখরাজ তোলার মাঝেই মাঠ থেকে উঠে আসবে জ্যোতি। যা ব্যাপকহারে চাষ হয় জেলায়। সব মিলিয়ে চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন আলু চাষিরা। এদিন কোতুলপুরের পলাশবন গ্রামের কৃষক কালিপদ রায় জানান,আড়ৎদারের কাছ কমদরে ধান বিক্রি করতে হল। বাজারে ঋণ করে আলু লাগিয়েছিলাম। যা অবস্থা তাতে এখানেও মার খাব। কোতুলপুরের যে হিমঘরগুলি আছে, সেগুলি আলু রাখার জন্য খুলবে ১ মার্চ। এখন বেশ কয়েকদিন বাকি। কিন্তু পোখরাজ পেকে গেছে। এই আলু তুলতেই হবে। না হলে মাটির নিচেই নষ্ট হয়ে যাবে। এক পয়সাও পাওয়া যাবে না।তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই কৃষক মাঠ থেকে পোখরাজ তুলে নিচ্ছেন। জানান, ক্ষুদ্র কৃষক ও ছোট আলু ব্যবসায়ি জয়ন্ত মল্লিক।

তিনি জানান, আমার ৩বিঘা জমির আলু এখনও তুলিনি। যে হারে দাম কমছে তাতে যখন তুলব তখন কি দাম পাব জানি না।এদিন কৃষকরা জানান, এক বিঘা পোখরাজ আলু করতে খরচ পড়েছে ১৭-১৮হাজার টাকা। এ-বছর ফলন ভালই হয়েছে। ৫০ কুইন্টালের মতো গড়ে হয়েছে। এখন যা বাজার তাতে ওই আলু বিক্রি করে কৃষক পাচ্ছেন ১০ হাজার টাকা। ৭-৮ হাজার টাকা নিট লোকসান। কিভাবে সামলাবো এই লোকসান? উৎকণ্ঠার সঙ্গে জানান রায়বাঘিনী গ্রামের কৃষক শ্যামাপদ কর্মকার। আলু না তুললে মাটিতেই পচে যাবে। তাই মাঠেই ব্যবসায়ীদের আলু বিক্রি করছি।

একাধিক কৃষক জানান, গত বছর স্টোরে যে আলু রেখেছিলাম তার দাম পেলাম না। সেই আলু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর রাখার জন্য হিমঘরে বেশি ভাড়া দিতে হলো। অনেকে আলু বের করলেন না। যদিও বা বের করলেন সেই আলু বাজারে নকড়ায় ছকড়ায় বিক্রি হলো। সরকারের এ নিয়ে কোনও মাথা ব্যাথা আছে? এঁরা জানান, আগে ফলন বেশি হলে আমাদের কোনও সমস্যা ছিল না। ২০১২সালে বর্তমান সরকার রাজ্যের বর্ডারগুলো বন্ধ করে দিল। আলু বাইরে গেল না। ফলে যে রাজ্যগুলিতে আলু যেত, সেখানে আলু চাষ শুরু হলো। মার খেলেন এই রাজ্যের কৃষক। আর সরকার আলু কিনব বলে প্রতিবারই, কিন্তু কোনবারই কেনে না। জানান জয়ন্ত মল্লিক। কৃষকরা জানান, পেপসি কোম্পানি যে আলু কৃষকদের দিয়ে চাষ করায় পোখরাজের দরের ফলে সেখানেও টান পড়বে। পেপসি আলু কৃষকরাও দর পাবেন না। যেমনটি ২০১৬সালে হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + twenty =