হাবরা: হাবরা-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি জাকির হোসেন বিজেপি ও আইএসএফের দালাল৷ এই ভাষাতেই পৃথিবা পঞ্চায়েতের আটুলিয়া এলাকায় পড়ল একাধিক পোস্টার৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য৷ বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফলেই এই ঘটনা।
হাবরা পৃথিবা পঞ্চায়েতের আটুলিয়া স্কুল এলাকায় শুক্রবার সকালে স্থানীয় লোকজন দেখতে পায় স্কুলের দেওয়াল সহ একাধিক জায়গায় পোস্টারে লেখা রয়েছে- ‘বিজেপি ও আইএসএফয়ের দালাল জাকির হোসেন দূর হটো’। এই পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এই নিয়ে কথা বলা হয়েছিল প্রাক্তন সভাপতি জাকির হোসেনের সঙ্গে৷
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা এই পোস্টটার লাগিয়েছে। মুখ খুলতে না চাইলেও দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে প্রকাশ্যে তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, যারা চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছিলেন আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম এবং টাকা ফেরত দিতে বাধ্য করেছিলাম৷ পুকুর ভরাটের মত অসামাজিক কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের প্রতিবাদ করেছিলাম৷ তাই আমার নামে এই ধরণের পোস্টার লাগানো হয়েছে রাতের অন্ধকারে।
প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও তিনি বুঝিয়েছেন দলের একাংশ এই ধরনের অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত৷ আর তিনি তারই প্রতিবাদ করেছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে এই পোস্টার লাগানো হয়েছে। যদিও এনিয়ে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি বিপ্লব হালদারের দাবি, ‘‘এটা সম্পূর্ণ তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। তাছাড়া কোনওদিন জাকির হোসেন বিজেপির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না৷ তিনি তৃণমূল কর্মী ছিলেন এবং আছেন। বিজেপির নোংরা রাজনীতি প্রশ্রয় দেয় না। বর্তমানে তৃণমূলের পাওয়ার পলিটিক্স এর ক্ষেত্রে একটি কোন্দল চলছে তাই আগে কে থাকবে আর পেছনে কে থাকবেন তার ফলেই এই ধরণের পোস্টার। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আগেও একাধিকবার সোশ্যাল মিডিয়ায় জাকির হোসেনকে দেখেছি বিভিন্ন ধরণের দলের বিরুদ্ধে পোস্ট করতে। তাই ওদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই৷’’