শুভেন্দু ঘনিষ্ট কাউন্সিলরের নামে পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা

শুভেন্দু ঘনিষ্ট কাউন্সিলরের নামে পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা

461275e1921e7acee0a8caef1a001571

হলদিয়া:  পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্পনগরী হলদিয়ার পুরসভার কাউন্সিলরের নামে পড়ল পোষ্টার। যার জেরে এরপর তৃনমূল ও বিজেপি মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাত সকালে শিল্পনগরী হলদিয়া বিভিন্ন এলাকায় পোষ্টার লক্ষ করা যায়। এরপর গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হলদিয়া পুরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হলেন সত‍্যব্রত দাস। এদিন সকালে সুতাহাটা বাজার এলাকায় একাধিক পোষ্টার দেখা যায়। তাতে লেখা রয়েছে ‘তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হয়ে এলাকার জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলে কেন মীরজাফর সত্যব্রত দাস (স্বপন) জবাব চাই জবাব দাও।’

গত পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রতীকে জয়লাভ করে কাউন্সিলর হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ নেতা সত‍্যব্রত দাস। বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী দল বদল করেন। রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তর থেকে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হলদিয়া পুরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর বিজেপি দলে যোগদান করেন। তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন সত্যব্রত দাস। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে তার নামে নিজের ওয়ার্ডে এলাকায় বেশ কয়েকটি পোষ্টার পড়ে।  যদিও পোষ্টারের খবর জানাজানি হতেই সত্যব্রত দাসের অনুগামীরা কিছুক্ষণ পরেই ওই পোষ্টার ছিঁড়ে দেয়। তবে এবিষয়ে কাউন্সিলর সত্যব্রত দাসের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তমলুক সংগঠনিক জেলার তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, “ওয়ার্ডে মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাই সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে হয়তো পোস্টার ফেলেছেন। তিনি বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছেন৷’’ তমলুক সংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, “পোষ্টার কারা ফেলেছে বিষয়টি জানি না। বিষয়টি খবর খবর নিয়ে দেখব৷’’ অন্যদিকে মালদহের রতুয়ায় নিজেদের সদস্যদের আনা অনাস্থায় বিপক্ষ দলের সদস্যদের সমর্থনের জেরে বৃহস্পতিবার গদিচ্যূত হয়েছেন তৃণমূলের প্রধান। এনিয়ে অপসারিত প্রধান নিজেদের দলের কিছু নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের তোপ দেগেছেন।

অপসারিত পঞ্চায়েতের প্রধান হন তৃণমূলের শেখ আলমগীর রেজা চৌধুরী বলেন, আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা তৃণমূল আনেনি সিপিএম,কংগ্রেস ও বিজেপি মিলে খেলা খেলেছে। যারা সিপিআইএম পরিবার থেকে তৃণমূলে এসেছে তারাই এই খেলা খেলেছে।   তৃণমূল নেতা শম্ভু চৌধুরী জানান দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েতের কাজ সুস্থভাবে চলছিল না। পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যে মতানৈক্য ছিল এর ফলে সাংগঠনিক কিছু অসুবিধা হচ্ছিল। পঞ্চায়েত সদস্যদের কোন কথা শুনছিলেন না। তিনি নিজের খেয়াল-খুশি মতো পঞ্চায়েত চালাচ্ছিলেন। তারই জেরে এই অনাস্থা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *