‘অ-কল্যাণের মুক্তি চাই’! পোস্টারে ছয়লাপ রিষড়া

‘অ-কল্যাণের মুক্তি চাই’! পোস্টারে ছয়লাপ রিষড়া

শ্রীরামপুর:  রাজ্য রাজনীতিতে চর্চারপ কেন্দ্রে অভিষেক-কল্যাণ তরজা৷  ভোট পিছানো সম্পর্কে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ব্যক্তিগত মতামত’ নিয়ে  তোপ দাগার পর থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত৷ যার জেরে এবার পোস্টার পড়ল শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে৷ ‘আর নয় কল্যাণ। অ-কল্যাণের মুক্তি চাই।’ ‘শ্রীরামপুরে নতুন সাংসদ চাই’।  ‘দিদি তুমি বিচার কর, দাদা তুমি বিচার কর।’- এই ধরনের পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে রিষড়ার ওয়েলিংটন জুটমিল, ছাইরোড, মৈত্রীপথ এলাকার বিভিন্ন জায়গা৷ তবে কে বা কারা এই পোস্টার দিয়েছেন, তা জানা যায়নি৷ 

আরও পড়ুন- সাগরে ট্রলারডুবি, বরাতজোরে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন মৎস্যজীবীরা

অভিষেক প্রসঙ্গে কল্যাণের মন্তব্য নিয়ে শোরগোল বেঁধেছে তৃণমূলের অন্দরে৷ বাগবিতণ্ডা শুরু হয়েছে উপর মহলের নেতাদের মধ্যে৷ এর পর থেকে হুগলি তৃণমূলের অনেক নেতাই নেটমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। একদিকে অভিষেকের বক্তব্যকে সমর্থন করে যেমন পোস্ট করেছেন স্থানীয় নেতারা। তেমনই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনেও পোস্ট করেছেন তাঁর অনুগামীরা৷ রিষড়ার বাসিন্দা তথা আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার আবার সরাসরি  লোকসভার চিফ হুইপ পদ থেকে কল্যাণের ইস্তফা চেয়ে সরব হয়েছেন। তাঁর বাড়ির আশেপাশেও এই পোস্টার পড়েছে।

যদিও পোস্টার বিতর্ক এড়িয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্নেহাশিষ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমাদের দলের কেউ এই পোস্টার দেয়নি। বিরোধী দলের কর্মীরাই এই পোস্টার লাগাচ্ছে।’’ অন্য দিকে বিজেপি নেতা ভাস্কর ভট্টাচার্যের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘কোনও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক যখন কোনও কথা বলেন, তখন সেটা দলের বক্তব্য হয়ে যায়। কল্যাণবাবু তো ভুল কিছু বলেননি। তাঁর দলের লোকেরাই এই পোস্টার দিচ্ছে।’’

সংঘাত রুখতে ময়দানে নামেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ সাংবাদিক বৈঠক করে দলীয় নেতাদের রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন তিনি৷ এর পরেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা সকলেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন৷ এরই মধ্যে নতুন করে সরব হয়েছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।


  

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *