কলকাতা: নিশানায় রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। তাঁর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে চত্বরে পড়ল পোস্টার। গোটা ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কোনো আইনজীবী সংগঠন। এদিকে পোস্টারে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের নাম উল্লেখ করা নেই। তাই স্বাভাবিক ভাবেই আরো বেশি কৌতূহল বেড়েছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
কী লেখা রয়েছে ওই পোস্টারে? হাইকোর্টে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যে পোস্টার পড়েছে তাতে লেখা রয়েছে, “মাননীয় মাস্টার অফ রস্টারের কলকাতা হাইকোর্টের অ্যাপিলাইট সাইডের নিয়ম জানা উচিত! গণতন্ত্র বাঁচাও, বিচার ব্যবস্থা বাঁচাও!” পোস্টারের ধরণ দেখে মনে করা হচ্ছে যে বিক্ষুব্ধ আইনজীবিদের মধ্যেই কেউ এই পোস্টার লাগিয়েছেন। কিন্তু যেহেতু পোস্টারে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের নাম উল্লেখ করা নেই তাই এই ব্যাপারে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। তবে আইনজীবিদের একাংশের অভিযোগ ছিল, কলকাতা হাইকোর্টের নিয়ম অনুযায়ী মামলা উঠছে না বিচারপতিদের এজলাসে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিজের ইচ্ছে মত নির্দিষ্ট মামলার বেঞ্চ নির্ধারণ করছেন। এই প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ হয় এবং বার অ্যাসোসিয়েশন একটি বৈঠক পর্যন্ত করে। পরবর্তী ক্ষেত্রে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির এজলাস বয়কট করে আইনজীবীদের একাংশ। এবার এই পোস্টার নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। কোন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বা প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এমন পোস্টার আগে পড়েছে কিনা তা মনে করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন- দেদার কোভিডবিধি ভঙ্গ রাতে, নৈশকার্ফু নিয়ে আরও কড়াকড়ি চায় নবান্ন
সম্প্রতি বার অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠক হয় যেখানে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, অরুণাভ ঘোষের মতন আইনজীবীরা৷ আইনজীবীদের দাবি, যে ভাবে সিঙ্গল বেঞ্চের মামলা ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো হচ্ছে, যে ভাবে হাইকোর্ট প্রশাসন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের রায় সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়ছে, তা এক কথায় নজিরবিহীন।