কলকাতা: হাথরাসে দলিত তরুণীর উপর নির্যাতন এবং তৃণমূল সাংসদদের উপর পুলিশি নিগ্রহের প্রতিবাদে এদিন পথে নামলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের সামনে থেকে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত পদযাত্রা করেন তিনি। মিছিল শেষে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে দাঁড়িয়ে আক্রমণ শানান বিজেপিকে৷
আরও পড়ুন- মমতার বাড়িতেও করোনা, বাংলায় গোষ্ঠী সংক্রমণের তথ্য দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, চাল, ডাল, আলু, তেল কোনও কিছুই আর নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকায় থাকবে না৷ ‘‘ওয়ান নেশন, ওয়ান লিডার, ওয়ান পলিটিক্যাল পার্টি করে সমগ্র দেশে স্বৈরাচার চলছে৷ ভারতে কোনও গণতন্ত্র নেই৷’’ তিনি আরও বলেন, দেশে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, কোনও রাজনৈতিক দলের কথা বলার অধিকার নেই, কোনও অফিসার কথা বলতে পারবেন না৷ এখানে এজেন্সি রাজ চলছে৷ এখানে সরকার মানুষের জন্য নয়, এই সরকার স্বৈরাচারী সরকার৷ মানুষের জীবনের কোনও ভরসা নেই, নিরাপত্তা নেই৷ কোভিডে মানুষের জীবন চলে যাচ্ছে আর নেতারা বাড়িতে বসে ভাষণ দিচ্ছে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যে খবর ছড়ানো হচ্ছে৷ মিথ্যে প্রতশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে৷
তৃণমূল নেত্রীর কথায়, ‘‘আমাদের আদর্শ, আইকন, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় মহাপুরুষ নেতাজি আর নেই৷ গান্ধীজি বেচারা! বাবাসাহেব আম্বেদকর নেই৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নেই, নজরুল নেই, ভগৎ সিং নেই৷ আজ দেশের সবচেয়ে বড় মহাপুরুষ বিজেপি৷’’ বিজেপি শুধু বড় বড় কথা বলতে আর চিঠি পাঠাতে পারে৷ এখনও জিএসটি’র টাকা দেওয়া হয়নি রাজ্যকে৷ আমাদের ঋণ কেন নিতে হবে? অথচ নির্বাচন এলেই মানুষের কাছে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ বিমান ভাড়া করে আসছে৷ সেই বিমানে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷
আরও পড়ুন- আলুতে ৩৫, ধানে ৪০০ টাকা কাটমানি যাচ্ছে কালীঘাটে: দিলীপ ঘোষ
কেন্দ্রের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়েও এদিন একহাত নেন মমতা৷ তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে পাকিস্তান ইস্যু চলে আসে৷ পুলওয়ামা চলে আসে৷ আর ভোট মিটলেই রেল বিক্রি করে দেয়৷ সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে দিচ্ছে বিজেপি৷ এয়ার ইন্ডিয়া থেকে বিএসএনএল সব বেচে দিচ্ছে৷ ভোট শেষ হলেই দলিত, নমঃশূদ্রদের উপর অত্যাচার চলছে৷