লকডাউন উঠে গেলেই ধেয়ে আসবে নতুন বিপদ! রোগভোগ থেকে রক্ষা কীভাবে?

লকডাউন উঠে গেলেই ধেয়ে আসবে নতুন বিপদ! রোগভোগ থেকে রক্ষা কীভাবে?

কলকাতা: লকডাউনে যেন উধাও হয়েছিল দূষণ৷ ঝকঝকে আকাশ, টলটলে নদীর জল আর পাখির ডাকে বদলেছিল পরিবেশের রূপ৷ কিন্তু আনলক ওয়ান শুরু হতেই ফিঁকে হতে শুরু করেছে প্রকৃতির সেই মোহময়ী রূপ৷ আর তাতেই নতুন করে দুর্যোগের মুখে পড়তে চলেছে বিশ্ব৷ ব্যতিক্রম নয় বাংলা!

ধীরে ধীরে লকডাউন উঠে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন৷ রাস্তায় বাড়ছে যানবাহনের ভিড়৷ সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দূষণ৷ হঠাৎ করে লকডাউন ওঠে গেলে প্রকৃতির উপরেও একটা চাপ আসবে৷ আচমকা বেড়ে যাবে পরিবেশ দূষণের মাত্রা৷ লকডাউন পর্বে যে প্রাকৃতিক শোভা উপভোগ করা যাচ্ছিল, সেটা কিন্তু আর থাকবে না৷ প্রকৃতির এই বদল নিয়ে চিন্তিত প্রশাসনও৷ ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বিভিন্ন নীতি তৈরির চিন্তাভাবনা শুরু করেছে সরকার৷  আলোচনা হচ্ছে, যাতে লকডাউন সম্পূর্ণ উঠে গেলে পরিবেশের উপর এর বৃহৎ কোনও প্রভাব যেন না পড়ে৷

তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যারা ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন, কিংবা সদ্য করোনা থেকে সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আশঙ্কার যথেষ্ট কারণ রয়েছে৷ কারণ দূষণ সবার আগে ফুসফুসের উপরেই আঘাত হানে৷ একটি তথ্য অনুযায়ী, গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে লকডাউন পর্বে বাতাসে ধূলিকণার সঙ্গে যে বিএম ১০ ও বিএম ২.৫ থাকে, যেগুলি মূলত দূষণের মূল উপজীব্য বিষয়, গোটা দেশজুড়ে তা প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে৷ কিন্তু লকডাউন সম্পূর্ণ উঠে যাওয়ার পর পরিবেশের উপর একটা ধাক্কা আসবে৷ হঠাৎ করে দূষণ অনেকটাই বেড়ে যাবে৷ আর হঠাৎ করে পরিবেশে দূষণের মাত্রা যদি বৃদ্ধি পায় সেক্ষেত্রে ভাববার যথেষ্ট কারণ রয়েছে৷

পশ্চিমবঙ্গে আর কিছু দিনের মধ্যেই বর্ষা নামবে৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষাকালে দূষণের মাত্রা অনেকটাই কম থাকে৷ কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিববঙ্গে বছরে ১৫০০ থেকে ১৬০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়৷ অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে ২৫০০ থেকে ২৬০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়৷ কিন্তু দেশের উত্তরভাগে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেকটাই কম৷ দিল্লি, হরিয়ানা পঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলিতে মাত্র ৭০০ থেকে ৮০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়৷ সুতরাং এই সকল এলাকায় দূষণ ততটা কমবে না, যতটা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে কমার সম্ভাবনা রয়েছে৷ সেক্ষেত্রে কিন্তু সচেতনতার যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *