রক্তাক্ত শীতলকুচি, শ্মশানের নীরবতা ১২৬ নম্বর বুথে! স্থগিত ভোট

রক্তাক্ত শীতলকুচি, শ্মশানের নীরবতা ১২৬ নম্বর বুথে! স্থগিত ভোট

71b673f460afc060f0c5097f62328738

 

কোচবিহার: শনিবার সকাল থেকেই চরম উত্তপ্ত মাথাভাঙ্গা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু ৪ সাধারণ মানুষের। এ ঘটনায় কার্যত শ্মশানে পরিণত হয়েছে কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা বিধানসভা কেন্দ্রে শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথ কেন্দ্র। অনির্দিষ্টকালের জন্য ভোট গ্রহণ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে ওই বুথে। রক্তাক্ত অবস্থায় এখনও হাসপাতলে ৪ জন আহত।

শনিবার সকাল থেকে চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল থেকেই উত্তেজনার পারদ চরমে। কিন্তু সকাল দশটা নাগাদ মাথাভাঙ্গার শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালনায় সন্ত্রাস মাত্রা ছাড়িয়েছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, “সকালবেলা যখন ভোটাররা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভোট দেওয়ার জন্য, তখনই তিনটি গাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীরা আসেন। কিছু বলার আগেই প্রথমে তারা হাওয়ায় তিন-চারবার গুলি করেন। তাতেই দিশেহারাভাবে ভোটাররা এদিক-ওদিক দৌড়তে শুরু করেন। তখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাদের ওপর গুলি চালায়। লুটিয়ে পড়েন ৭-৮ জন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়িতে উঠে চলে যায় এখান থেকে চলে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই জওয়ানরা।”

এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশন পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছে। জলপাইগুড়ির ডিআইজি জানিয়েছেন, “আত্মরক্ষার স্বার্থেই গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি কি ভুল হয়েছে তা আমরা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি। তদন্ত শুরু হয়েছে এ নিয়ে।” নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, শীতলকুচির ওই বুথ কেন্দ্রে তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে বচসা জড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, গুলি চালানোর মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

ঘটনার পর থেকে কার্যত শ্মশানে পরিণত হয়েছে শীতলকুচির ওই ১২৬ নম্বর বুথ। কয়েকঘন্টা আগেও যেখানে ভোটগ্রহণ চলছিল সেখানে এখন নিস্তব্ধতা। এখনও এদিক-ওদিক ছড়িয়ে রয়েছে কাগজপত্র, জুতো, ভোটের বিভিন্ন সরঞ্জাম ইত্যাদি।  জায়গায় জায়গায় লেগে রয়েছে টাটকা রক্তের চিহ্ন। আপাতত ওই বুথে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। পুনরায় নির্বাচন কবে হবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *