সপ্তম দফার ভোটে ৭৩ জন প্রার্থীর নামেই রয়েছে ফৌজদারি মামলা

সপ্তম দফার ভোটে ৭৩ জন প্রার্থীর নামেই রয়েছে ফৌজদারি মামলা

e9af16e24cfb0466207b2dc5888cd1c4

 

কলকাতা: সোমবার রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সপ্তম দফার ভোট গ্রহণ। এদিন সকাল থেকে ভোট যুদ্ধ শুরু হয়েছে ৫টি জেলার ৩৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে। মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রেও এদিন ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় বাতিল হয়েছে এই দুই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ।

খুব শিগগিরই ভোটগ্রহণ হবে এই দুই কেন্দ্রেও। সোমবার সকাল থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ৬টি, মালদহ জেলার ৬টি, মুর্শিদাবাদ জেলার ৯টি, কলকাতা দক্ষিণের ৪টি ও পশ্চিম বর্ধমানের ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট যুদ্ধ শুরু হয়েছে। চলতি নির্বাচনের গত ছয় দফায় বিভিন্নভাবে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতির ময়দান। কখনও সেই সংঘর্ষ প্রার্থীগত, তবে বেশিরভাগ সময়ই তা দলগত। বিশেষ করে তৃণমূল ও বিজেপি মধ্যে সংঘর্ষে হিংসাত্মক ঘটনার সাক্ষী থাকছে বিভিন্ন কেন্দ্র। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস তাদের রিপোর্টে সপ্তম দফার ৩৬টি কেন্দ্রের মধ্যেও ১৩টি কেন্দ্রে লাল সতর্কতার কথা জানিয়েছে।

উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, কলকাতা দক্ষিণ ও পশ্চিম বর্ধমান- এই পাঁচ জেলায় সপ্তম দফার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন মোট ২৮৪ জন প্রার্থী। এডিএস-এর প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ২৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭৩ জন প্রার্থীর নামে ফৌজদারি অপরাধের মামলা চলছে। যার মধ্যে ৬৩ জনের নামে গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে। দলগতভাবে দেখতে গেলে প্রধান দলগুলোর মধ্যে সিপিআইএমের ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯ জনের নামে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। তার মধ্যে ৭ জনের নামেই তা গুরুতর মামলা। কাকতালীয়ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি দুই দলেরই ৩৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৯ জন প্রার্থীর নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। যেখানে বিজেপির ১৬ জনের নামে সেই মামলা গুরুতর সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের ১৪ জন প্রার্থীর নামে গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে।

সপ্তম দফার নির্বাচনে এমন মোট ১৮ জন প্রার্থীর আছেন যাদের নামে মহিলাদের বিরুদ্ধে করা অপরাধ সম্পর্কিত মামলা রয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০২ অনুযায়ী খুনের মামলায় অভিযুক্ত রয়েছেন ৩ জন প্রার্থী। ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০৭ অনুযায়ী ১৪ জন প্রার্থী তাদের নামে হত্যার চেষ্টা করার অপরাধের মামলা স্বীকার করেছেন। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস সপ্তম দফার ৩৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩টি কেন্দ্রকে লাল সতর্কতার কথা জানিয়েছে। কোনও কেন্দ্রে যদি তিন বা তার বেশি প্রার্থী নিজের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার কথা স্বীকার করে নেন তাহলে সেই কেন্দ্রকে লাল সর্তকতা জানায় এডিএস। অন্যদিকে, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের কড়া নিষেধাজ্ঞার পরেও ফৌজদারি মামলা রয়েছে এমন ২৬ শতাংশ ব্যক্তিকে নির্বাচনের টিকিট দিয়ে প্রার্থী করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ তাদের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনোরকম প্রভাব ফেলেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *