বলাগড়: ছিল বেড়াল, হয়ে গেল রুমাল। তিনি নিজে কতটা সৎ, কতটা সাদা মাটা সেটা বোঝাতে শরনাপন্ন হয়েছিলেন সোশ্যাল সাইটের৷ আদতে যেটা বললেন, তাতে বিড়ম্বনা বাড়ল নিজেরই৷ যার জেরে দীপাবলির দিন থেকেই প্রশংসা এবং সমালোচনা ধেয়ে আসছে বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর৷
ইতিমধ্যে জনমানসে তো বটেই দলের অন্দরেও তাঁর বক্তব্যকে ঘিরে উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন৷ যার জেরে ‘অন্য বিধায়কের মতো টাকা আমদানি’ করতে পারেন না, বলতে তিনি ঠিক কি বোঝাতে চেয়েছেন, কারাই বা দুর্নীতিগ্রস্ত- দলের এমন হাজারও প্রশ্নেরও মুখোমুখি হতে চলেছেন বিধায়ক৷
কালীপুজোর দিন দুপুরে সোশ্যাল সাইটে আসেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী৷ সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘মানুষ আমাকে অন্য বিধায়কের মতো বেশ আমদানি করা ভেবে কেউ চাঁদা নিতে দৌড়ে আসছে। কেউ মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা চাইছে। কেউ এসে বলছে কলেজে ভরতির টাকা দাও। কেউ বলছে ওষুধ কিনতে পারছি না টাকা দাও। পাগল হয়ে যাচ্ছি এতো টাকা টাকা শুনে।”
বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, নিজের আর্থিক পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে একথা বলেছেন বিধায়ক৷ বিষয়টির অন্য ব্যাখ্যা করা ঠিক নয়৷ উনি নজিরে খরচের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য তুলে ধরে সেটাই বোঝাতে চেয়েছিলেন৷ অন্য কাউকে আক্রমণ করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না৷ যদিও মনোরঞ্জনের অহেন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দলেরই একাংশের দাবি, বিধায়ক পরিকল্পিতভাবে নিজের সততা বোঝাতে অন্যদের কালিমালিপ্ত করেছেন৷ সূত্রের খবর, যার জেরে উৎসবের মরশুম শেষ হলেই রাজ্য নেতৃত্বের তরফে তাঁর কাছে এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হবে৷ সদুত্তর না পেলে শাস্তির মুখেও পড়তে পারেন এই বিধায়ক৷ যদিও এবিষয়ে বিধায়কের পরবর্তী কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷