করোনা আক্রান্ত বিজেপি নেতা, পরিবারকে হেনস্তার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!

হাবড়া: করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু ১৫ দিন আগেই সেরে উঠেছেন যুবক। তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভও এসেছে। তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যদেরও করোনা হয়নি। তাঁদের রিপোর্টও নেগেটিভ। কিন্তু তা সত্ত্বেও পড়শিদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাঁদের। ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়ার বাণীপুর রবিশঙ্কর সরণিতে।

নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু ১৫ দিন আগেই সেরে উঠেছেন যুবক। তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভও এসেছে। তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যদেরও করোনা হয়নি। তাঁদের রিপোর্টও নেগেটিভ। কিন্তু তা সত্ত্বেও পড়শিদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাঁদের। ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়ার বাণীপুর রবিশঙ্কর সরণিতে।

হাবড়ার বাণীপুর রবিশংকর সরণির বাসিন্দা ওই যুবক হাবড়া দক্ষিণ পৌরমন্ডলের বিজেপির যুব সম্পাদক। জানা গিয়েছে, তিনি যখন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন খবর আসে তখনই বাড়ির লোক নিজেদের আলাদা করে নেন। পাশের নিজেদের অন্য একটি বাড়িতে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, তা সত্ত্বেও করোনা আক্রান্তের পরিবারের সদস্য হওয়ায় স্থানীয়রা অনেকেই তাঁদের কটুক্তি করতেন। এ নিয়েই বিজেপির যুব সম্পাদক মনীষ কুমার সেন যাঁরা উত্ত্যক্ত করছিলেন তাঁদের ফোন করে নিরস্ত্র করার চেষ্টা করেন। তাঁর পরিবারের প্রতি খারাপ আচরণের প্রতিবাদ করেন তিনি। এই নিয়ে ফোনে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ।

এদিকে ওই বিজেপি নেতার শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ না থাকায় ডাক্তারের পরামর্শে তাঁকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়। বুধবার তাঁর ১৪ দিনের মেয়াদ শেষ হয়। তারপরই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। চিকিৎসক জানান তাঁর করোনা উপসর্গ না থাকায় নতুন করে আর পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই। এরপর, বৃহস্পতিবার বেলা ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, হেনস্তাকারী সেই যুবকরা ফের মনীশের বাড়িতে আসেন ও তাঁকে মারধোর করেন। এমনকী মনীশের স্ত্রীকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এছাড়া বাড়িতে ইটের টুকরো ছোঁড়ার অভিযোগও ওঠে। অভিযোগ, ১২-১৪ জনের একটি দল ঠিল। তারাই হামলা চালায়। মণীশের অভিযোগ তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কর্মী।

ঘটনার পর স্থানীয় কয়েকজনের রক্তাক্ত অবস্থায় মনীশকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর মাথায় দুটি সেলাই পড়েছে। এছাড়া গলায় ও বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অভিযোগ, মাটিতে ফেলে এলোপাতাড়ি কিল ও ঘুষি মারা হয় মণীশকে। তখনই আঘাত লাগে। তাঁকে হাবড়া হাসপাতাল থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে বারাসত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গোটা ঘটনায় মণীশের স্ত্রী সোমা সেন রাতে হাবড়া থানায় কয়েকজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত সুমন দাস নামে এক যুবক জানিয়েছেন করোনা আক্রান্ত মণীশকে তাঁরা আরও কয়েকদিন বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন তাঁরা। উলটে তাঁদের অভিযোগ, মণীশই তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ও তাঁদের উপর হামলা করেন। এই মর্মে তারা হাবড়া থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। উভয়পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাবড়া থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 3 =