বিচারপতির বিরুদ্ধে পোস্টার নিয়ে রিপোর্ট জমা দিল পুলিশ, অসন্তুষ্ট বৃহত্তর বেঞ্চ

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে পোস্টার এবং তাঁর এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ, বয়কটের ইস্যুর শুনানি হল বৃহত্তর বেঞ্চে। এই শুনানিতে এজলাসের বাইরে কী ঘটনা ঘটেছিল তার ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। তার রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্যকে। এদিকে বিচারপতির বাড়ির সামনের পোস্টার নিয়ে এদিন রিপোর্ট জমা দিয়েছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার। কিন্তু সেই রিপোর্টে খুশি নয় বৃহত্তর বেঞ্চ।
আরও পড়ুন- আবার পিছল শুনানি, দিল্লিযাত্রা নিয়ে স্বস্তি বহাল অনুব্রতর
জানা গিয়েছে, পোস্টার কোন প্রেসে ছাপা হয়েছে, কে ওই পোষ্টারের বরাত দিয়েছে, সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তথ্য জানাতে পারেনি পুলিশ। সেই তথ্য জানানোর জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। আর তাতেই অসন্তুষ্ট বৃহত্তর বেঞ্চ। কিন্তু এদিনের পুলিশ রিপোর্ট কী বলছে? জানান হয়েছে, কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের এলাকায় আড়াইশোর বেশি ছাপাখানা আছে , যার মধ্যে ৩৯ টির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। ৭ জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া জানান হয়েছে, পোষ্টারের কালি এবং কাগজ সিএফএসএল কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সিএফএসএল জানিয়েছে যে, পোস্টার এবং কালি থেকে ছাপাখানা শনাক্ত করার পরিকাঠামো তাদের নেই। অন্যদিকে, যারা পোস্টার লাগাতে এসেছিল তাদের সবাই মাস্ক পরেছিল, ফলে তাদের সনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ। যদিও ৬ ব্যক্তির নাম জানিয়েছেন সিপি। আর তদন্তের জন্য আরও তিন সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের এজলাস বয়কট কার্যত এখনও চলছে। রাজ্য বার কাউন্সিলের আইনজীবী কিশোর দত্ত সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। তবে বিচারপতি সিভাগ্নামন বলেন, এটা বেশিদিন চলুক তা কেউই চায় না। তবে এই মামলার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। তিনি জানিয়েছেন, আগে যে হাইকোর্টে ছিলেন সেখানেও বিভিন্ন দাবির ভিত্তিতে আন্দোলন বা কর্মবিরতি করতেন আইনজীবীরা। কিন্তু এখানে একজন বিচারপতির নামে অভিযোগ করা হচ্ছে, তার ছবি সামনে এনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে। সেই বিচারপতি নিজে স্বতপ্রণোদিত আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন, প্রধান বিচারপতিকে পাঠিয়েছেন, প্রধান বিচারপতি নিজে এই মামলা গ্রহন করে এখানে পাঠিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৫ মার্চ।