কলকাতা: প্রতিবাদ, ধিক্কার, মিছিল। ইস্যু এক। পথে নেমে প্রতিবাদে শাসক, বিরোধী দুই পক্ষই। দুদিকেরই তোপের আগায় বিজেপি। উত্তরপ্রদেশে হাথরসের ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিড়লা তারামণ্ডল থেকে গান্ধী মূর্তি পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল৷ মিছিলে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ঠিক ওই সময় অন্য প্রান্ত থেকে মিছিল করে বাম-কংগ্রেস৷ অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিল অবাধে শেষ মিটলেও ধর্মতলায় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে বাম-কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিল৷
বাম কংগ্রেসের মিছিলে বাধা দেওয়া না হলেও ধর্মতলার মুখে তাদের আটকে দেওয়া হয়। কর্ডন দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় এলাকা যাতে তা এগোতে না পারে। মৌলালি থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত যৌথ মিছিলে নামে বাম ও কংগ্রেস। পথে প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনায় সরব হয়ে ওঠেন তারা। প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন যোগীর রাজ্যের প্রশাসনের বিরুদ্ধে৷ ওঠে স্লোগান৷ মৌলালি থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত এই মিছিলে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যসহ বাম নেতৃবৃন্দ যেমন ছিলেন, ছিলেন কংগ্রেস নেতারাও।
মিছিল পায়ে পায়ে রানি রাসমণি রোড ধরে যখন ধর্মতলায় পৌঁছায় তখন হঠাৎ করেই ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলের গতিরোধ করা হয়। সরব হয়ে ওঠেন মিছিলে যোগদানকারীরা। পুলিশকে মিছিল আটকানোর কারণ জিজ্ঞাসা করলে অনুমতির প্রসঙ্গ তোলা হয়। পাল্টা প্রশ্ন তোলেন বাম কংগ্রেস নেতৃবৃন্দও। একই জায়গায় যেখানে মিছিল ও সভা করতে বাধা পায়নি শাসকদল, সেখানে তাদের মিছিল কেন আটকানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও পুলিশের ব্যারিকেড আটকাতে পারেনি মিছিল। ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় মিছিল।
পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও বাধে মিছিলে যোগদানকারীদের। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন বিরোধীদের প্রতিবাদ যখন শাসকদলের সুরেই তখন কেন এভাবে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করা হল? কেন মিছিল আটকে প্রতিবাদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হল? যদিও বারবার এ প্রসঙ্গে অনুমতির কথাই তুলেছে পুলিশ প্রশাসন। তবে সংশ্লিষ্টমহলের দাবি গোটা বিষয়টিকে নিজেদের ইস্যু করে রাখতেই এই পদক্ষেপ করেছে শাসকদল৷