বাঁকুড়া: টেণ্ডার দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন পৌরপ্রধান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের পর দিনই বিষ্ণুপুর পৌরসভায় এলেন পুলিশের তদন্তকারী দলের সদস্যরা। সোমবার পুলিশ আধিকারিকরা পৌরসভায় পৌঁছেই দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ অফিসারের সঙ্গে প্রায় ১ ঘন্টা কথা বলেন। যে প্রকল্পগুলিতে টেণ্ডার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সেই বিষয়গুলি জানার চেষ্টা করেন তাঁরা। পরে পৌরসভার অর্থ দপ্তরের বিভাগীয় আধিকারিকের সঙ্গেও প্রায় আধ ঘন্টা কথা বলেন পুলিশের তদন্তকারী দলের সদস্যরা।
লিশ সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশে তাদের হেফাজতে থাকা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে পৌরসভার টেণ্ডার দুর্নীতি কাণ্ডে একাধিক জনের নাম উঠে এসেছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই ঘটনায় বেশ কয়েক জন পৌর আধিকারিকেরও জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পৌরসভায় এসে বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে তদন্তকারীদের কথা বলা জরুরি।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, যে প্রকল্প গুলিতে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে সেই বিষয়গুলি বিভিন্ন দিক থেকে জানার চেষ্টা চলছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আর্থিক লেনদেনের সম্ভাবনার বিষয়টিও। প্রয়োজনে খতিয়ে দেখা হতে পারে এই পৌরসভার অর্থ দপ্তরের অ্যাকাউন্টও। অন্য একটি সূত্রের খবর, তদন্তের স্বার্থে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিতদেরও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এমনকি ঠিকাদারী সংস্থাগুলিও এই পুলিশি জিজ্ঞাসাবারের বাইরে থাকবে না বলেই মনে করছেন অনেকে।
বিষ্ণুপুর পৌরসভার সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক অর্চিতা বিদ বলেন, ‘‘আমি এবিষয়ে কিছুই জানিনা। পুলিশ আধিকারিকরা তদন্তের স্বার্থে পৌর আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতেই পারেন। তাঁরা তাঁদের কাজ করছেন৷’’ তদন্তকারী দলের এক সদস্যের কথায়, ‘‘১০ কোটি টাকার দুর্নীতি হল৷ আর সেখানে শুধুমাত্র একজন জড়িত এটা তো হতে পারে না৷ ইতিমধ্যেই আমাদের জালে উঠে এসেছে রাঘব বোয়াল, বাকিদেরও গ্রেফতার করা হবে৷ চলছে সেই প্রক্রিয়া’’