ঝাড়গ্রাম: থানার মালখানা থেকে একের পর এক অস্ত্র চুরি যাচ্ছে। পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও সেই চোর ধরতে পারছে না। থানার মালখানা থেকে চুরি, খবর প্রকাশ্যে এলে মান ইজ্জত কিচ্ছু থাকবে না। পুলিশ থানার চুরি আটকাতে পারছে না, তো বাইরের চুরি আটকাবে কী করে। গোপনে শুরু হয় তদন্ত। অবশেষে হাঁফ ছেড়ে বাঁচল পুলিশ। ধরা পড়ল চোর। কিন্তু চোর দেখেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। খোদ পুলিশ অফিসারই থানা থেকে সরাচ্ছেন একের পর এক আগ্নেয়াস্ত্র।
ঝাড়গ্রামে লালগড় থানা থেকে ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র চুরি যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জামবনি থানার সাব ইনসপেক্টকর তারাপদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারপদের সঙ্গে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বাকিরা পুলিশ কর্মী নয় বলে জানা গিয়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা অস্ত্র পাচারকারীদের সঙ্গে যুক্ত। এই পাচারচক্রের মূল মাথার হদিশ পেতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত এসআই বর্তমানে জামবনি থানায় কর্মরত। এর আগে লালগড় থানায় পোস্টিং ছিল বলে জানা গিয়েছে। তারাপদ ৬ জুলাই ২০১৮ সাল থেকে ২৭ জুন থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মালখানার দায়িত্বে ছিলেন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই সময়ই তিনি মালখানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র চুরি শুরু করেন বলে জানা গিয়েছে। ২০০৮ সাল ও তার পরবর্তী সময়ে মাওবাদীদের থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ওই অস্ত্র লালগড় থানার মালখানায় জমা রাখা হয়।