কলকাতা: রণক্ষেত্র ধর্মতলা৷ ভাঙড়ে আইএসএফ এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের আঁচ এসে পড়ল শহরের প্রাণকেন্দ্রে৷ পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি, ইটবৃষ্টিতে ধুন্ধুমার কাণ্ড৷ উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ধর্মতলায়৷ হামলাকারী আরাবুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতাদের গ্রেফতারের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন আইএসএফ কর্মীরা৷ অবরোধ তুলতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। পাল্টা বাঁশ-লাঠি নিয়ে পুলিশকে তাড়া করলেন আইএসএফের কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, এদিন ভাঙড়ের বিধায়ক নওসশাদ সিদ্দিকের নেতৃত্বে আইএসএফ সমর্থকরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন৷ পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, শনিবার বিকেলে কলকাতায় সভা ছিল আইএসএফের। দলের কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করার পর তাঁদের উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। পাল্টা বাঁশ-লাঠি নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করার অভিযোগ ওঠে নওশাদ সিদ্দিকির দলের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
রাস্তায় অবস্থানে বসা আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে হঠাৎই মারমুখী হয়ে ওঠে পুলিশ। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে চটি, পাথর ছোড়েন বিক্ষভকারীরা৷ দু’পক্ষের সংঘর্ষে অনেকেই আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। মাথা ফেটে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটেছে৷ আক্রান্ত হন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও। এরই মধ্যে নওশাদ সিদ্দিকিকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ তাঁকে টেনে হিঁচড়ে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে৷ এর পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ শুরু হয় ইটবৃষ্টি৷ বাঁশ, লোহার রড নিয়ে পুলিশের দিকে ধেয়ে যায় আইএসএফ কর্মীরা৷ পুলিশ কিয়স্ক ভাঙচুর করা হয়৷ ভাঙচুর চালানো হয় ধর্মতলা চত্বরে৷ পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ৷ এই সংঘর্ষে আহত হন পুলিশ কর্তারাও৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে ধর্মতলায় আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী৷
প্রসঙ্গত, আজ সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়৷ আইএসএফ এবং তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় হাতিশালা এলাকা। দুই দলের সংঘর্ষে তৃণমূলের বেশ কয়েক জন কর্মী আহত হন। চোট পেয়েছেন আইএসএফ কর্মীরাও৷ তৃণমূল এবং আইএসএফ, উভয়ই একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছে। এদিকে, আজ বিকেলেই কলকাতায় ছিল আইএফএর সভা৷
এদিনের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন নওশাদ। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ সক্রিয় হলে এমনটা ঘটতে পারত না। আইএসএফ কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে।’’ নওশাদের দাবি, গোটা ঘটনায় আইএসএফের কোনও ভূমিকা ছিল না। বরং তৃণমূলই তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমি সুষ্ঠভাবে কর্মীদের কলকাতায় নিয়ে যেতে এসেছিলাম। আমাদের উপর হামলা হয়েছে৷ তৃণমূল নেতা জুলদার নেতৃত্বে গোটা ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা মারামারি করি না। এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়। সবাইকে নিয়ে কলকাতার পথে যাচ্ছি।’’ দুই দলের সংঘর্ষের জেরে চায়ের দোকানেও ভাঙচুর হয়েছে। নওশাদ জানিয়েছেন, তিনি নিজে সেই দোকান মেরামতের টাকা দেবেন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>