বর্ধমানের পৈতৃক ভিটেতে এসে খুন হাওড়ার ব্যবসায়ী! নেপথ্যে কী?

বর্ধমানের পৈতৃক ভিটেতে এসে খুন হাওড়ার ব্যবসায়ী! নেপথ্যে কী?

বর্ধমান: বর্ধমানের পৈতৃক ভিটেতে এসে হাওড়ার শিবপুরের ব্যবসায়ীর খুনের নেপথ্যে কি পারিবারিক জমি বিবাদ ? তদন্তে নেমে এটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সম্পত্তি নিয়ে শরিকি বিবাদ চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। মনে করা হচ্ছে তার জেরেই পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় পৈতৃক ভিটেতে এসে শুক্রবার রাতে খুন হন হাওড়ার শিবপুরের ওই ব্যবসায়ী। মৃত সব্যসাচী মণ্ডলের পরিবারের দাবি, সম্পত্তিগত কারণেই এই খুনের ঘটনা। মৃতের ছোট কাকার বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ তাদের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

মৃতের বাবা-মা হাওড়া শিবপুরের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তারা পূর্ব বর্ধমানে ছুটে গিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সব্যসাচীদের বড়বাজারে পারিবারিক প্লাস্টিকের ব্যবসা রয়েছে। এছাড়াও ত্রিপলের ব্যবসাও রয়েছে তাঁদের। হাওড়ার শিবপুর এলাকায় তাঁদের ১২ কাঠার দুটি সম্পত্তি রয়েছে। সেখানে কেউ বসবাস করেন না। এছাড়াও একটি ফ্ল্যাট আছে। সেই ফ্লাটে সব্যসাচীর বাবা-মা থাকেন। বর্ধমানের রায়না দরিয়াপুরের তাদের প্রায় ৮৪ বিঘার মত জমি-জমা, সম্পত্তি আছে। তাঁদের এই বিপুল সম্পত্তি নিয়ে ছোট কাকা গৌরহরি মণ্ডলের সঙ্গে অশান্তি ছিল।

এই জমি দেখাশোনার জন্য মাঝে মধ্যেই তিনি দরিয়াপুর যেতেন। সব্যসাচীবাবু শুক্রবার সকালে সেখানে  গিয়েছিলেন। ওই দিনই রাত প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ খুন হন তিনি। উল্লেখ্য গত ৮ আগস্ট হাওড়া শিবপুর এলাকার নবীন সেনাপতি লেনে ৬ কাঠা জায়গার উপর সব্যসাচীবাবুর দোতলা বাড়িতে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি পেট্রোল বোমা এবং দেশি বোমা ছোঁড়ে। সিসিটিভি ক্যামেরায় তা ধরাও পড়ে। দেশি বোমা না ফাটলেও পেট্রোল বোমার আঘাতে বাড়িতে আগুন ধরে যায়। সেই সময় সেখানে সব্যসাচীবাবু এবং তার এক বন্ধু ঘুমোচ্ছিলেন। সেই ঘরের পাশে থাকা পুরনো বাইক সমেত পরিত্যক্ত আসবারপত্র ও আবর্জনা আগুনে পুড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতার কারণে বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান তারা। এই ঘটনার পর সব্যসাচীবাবু শিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তারপর চলছিল এই মামলার তদন্ত। এই তদন্ত চলাকালীন পূর্ব বর্ধমানের পৈতৃক ভিটেতে এসে খুন হলেন সব্যসাচী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 + 20 =