নিখোঁজ মালিক! অগত্যা ছাগল যত্ন নেওয়ার ‘ডিউটি’ পেলেন ২ সিভিক ভলেন্টিয়া!

বর্ধমানের ভাতার থানার পুলিশকর্মীদের অবস্থা এখন বেশ মুশকিলের। তবে কোনও আসামীর জন্য নয়। তাঁদের সমস্যা একদল ছাগল। ঠিকই পড়ছেন। একজল ছাগলকে নিয়ে মারাত্মক ঝামেলায় পড়েছেন পুলিশকর্মীরা। কারণ সপ্তাহখানেক ধরে থানাতেই রয়েছে ওই ছাগলগুলো। গোদের উপর বিষফোড়া একটি ছাগলের মা। বুধবার থানাতের চত্বরেই সে দুটি সন্তানের জন্ম দিয়েছে। আর খুব স্বাভাবিকভাবেই সদ্যোজাতদের দেখভালের দায়িত্বও বর্তেছে ওই থানার পুলিশকর্মীদের উপর। এই দায়িত্ব আপাতত সামলাচ্ছেন দুজন সিভিক ভলান্টিয়ার।

 

ভাতার: বর্ধমানের ভাতার থানার পুলিশকর্মীদের অবস্থা এখন বেশ মুশকিলের। তবে কোনও আসামীর জন্য নয়। তাঁদের সমস্যা একদল ছাগল। ঠিকই পড়ছেন। একজল ছাগলকে নিয়ে মারাত্মক ঝামেলায় পড়েছেন পুলিশকর্মীরা। কারণ সপ্তাহখানেক ধরে থানাতেই রয়েছে ওই ছাগলগুলি। গোদের উপর বিষফোড়া একটি ছাগলের মা। বুধবার থানাতের চত্বরেই সে দুটি সন্তানের জন্ম দিয়েছে। আর খুব স্বাভাবিকভাবেই সদ্যোজাতদের দেখভালের দায়িত্বও বর্তেছে ওই থানার পুলিশকর্মীদের উপর। এই দায়িত্ব আপাতত সামলাচ্ছেন দুজন সিভিক ভলান্টিয়ার।

ঘটনার শুরু দিন ছয়েক আগে। ওদিন রাতে টহল দেওয়ার সময় পুলিশকর্মীরা ৪টি ছাগলকে খুঁজে পান। বলগোনা বাজারে এই ৪ ছাগলকে দেখতে পান তাঁরা। কয়েকদিন আগে থেকেই ভাতারে ছাগল চুরির ঘটনা ঘটছে। একাধিক অভিযোগ এসেছে তাদের কাছে। তাই ওই ছাগলগুলির মালিককে কাছাকাছি না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু তারপরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফলে ছাগলগুলিকে ভাতার থানায় নিয়ে আসেন পুলিশকর্মীরা। তার পর থেকে থানাতেই রয়েছে তারা। তাদের জন্য গাছের পাতা, কচি ডাল, জল- সবকিছুর বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: গুরুর পর কি শিষ্য? কার হাতে সঁপা হবে বাসন্তীর দূর্গ, জল্পনা তুঙ্গে

কিন্তু সমস্যা বেড়েছে সম্প্রতি। ওদের মধ্যে একটি ছাগল আবার ২টি সন্তান প্রসব করেছে। সদ্য মা হওয়া ওই ছাগল ও তার সন্তানদের খেয়াল রাখতে ঘাম ছুটেছে পুলিশকর্মীদের। তাদের যত্নে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না তাঁরা। কিন্তু পুলিশেরও তো কাজ রয়েছে। তাই দুদিক সামলাতে গিয়ে বেশ সমস্যাতেই পড়েছেন পুলিশকর্মীরা। ৬টি ছাগল নিয়ে ঘেমেনেয়ে একশা  ভাতার থানার পুলিশের। থানার এক পুলিশকর্মী বলেন, ‌ছাগলগুলিকে খাওয়াতে আর তাদের যত্ন নিতে নিতে তাঁরারা রীতিমতো ক্লান্ত। তাই ফের কোমর বেঁধে থাগলগুলির মালিকের খোঁজ চলছে। যতদিন না তিনি এসে প্রমাণ দিয়ে ছাগলগুলিকে নিয়ে যাচ্ছেন, ততদিন ছুটি নেই। তাই দ্রুত মালিকের স‌ন্ধান করছেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 1 =