Strict Surveillance
কলকাতা: আজ বিজয়া দশমী। বাঙালির মন খারাপের দিন। বিগত কয়েক দিনের আনন্দের আজ ইতি। উমা বাপের বাড়ি থেকে ফিরে যাবে স্বর্গলোকে। তবে দশমী হলেও সব পুজোর প্যাণ্ডেলের ঠাকুর যে বিসর্জন হয় এমনটা নয়। কিছু বারোয়ারি পুজোর বিসর্জনের সঙ্গে হবে বাড়ির পুজো, আবাসনের পুজোর বিসর্জন। এই আবহে শহর কলকাতায় কড়া নজরদারি থাকছে পুলিশের। কমপক্ষে ২৩৮টি পয়েন্টে মূল নজর তাদের।
এদিন সকাল থেকেই একাধিক পুজো মণ্ডপে সিঁদুর খেলা, দেবীকে বরণ করার পালা চলছে। শুধু শহর কলকাতা নয়, একাধিক গ্রামাঞ্চলে একই পরিস্থিতি। তবে কলকাতার গঙ্গায় ভাসানের পরিমাণ বেশি বলে বাড়তি নজরদারি রাখতেই হচ্ছে পুলিশকে। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, বিসর্জনের শোভাযাত্রায় কোনও ভাবেই ডিজে বাজানো যাবে না। নির্দেশ অমান্য করে কোথাও যাতে ডিজে বাজানো হয় তবে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে পুজো কমিটির শোভাযাত্রায় ডিজে বাজবে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হবে। পুজোর কর্তারা গ্রেফতারও হতে পারেন বলে সতর্ক করা হয়েছে।
শহরে সব মিলিয়ে ৩৮টি ঘাটে বিসর্জন হয়। লেক ও অন্যান্য জলাশয় মিলিয়ে সেটা ৪০টি জায়গা হয়ে যায়। পাশাপাশি রাসবিহারী, গরিয়াহাট, বেহালার মতো জায়গা থেকে একাধিক শোভাযাত্রা আসে বিসর্জনের জন্য। তাই গঙ্গার ঘাটে, প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় যাতে কোনও রকম দুর্ঘটনা বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য জল পুলিশও তৈরি থাকছে।