কলকাতা: গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নিউ আলিপুর থেকে কোকেনসহ গ্রেফতার হন হুগলির বিজেপি যুব মোর্চার পর্যবেক্ষণ পামেলা গোস্বামী ও প্রবীর দে। ২০ ফেব্রুয়ারি আলিপুর জেলা আদালতে রাকেশ সিংয়ের নাম শোনা যায় পামেলার মূখে। এর পরেই এদিন বিকেল চারটের মধ্যে লালবাজারে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ পাঠানো হয় বিজেপি নেতাকে। কিন্তু তিনি সেই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন রাকেশ সিং, তবে আজ তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিকে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মাদকপাচার কাণ্ডে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংকে আজই মুখোমুখি হতে হতে হবে লালবাজারে তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে। রাকেশ সিংয়ের আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।
মাদক কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর বিজেপি নেতা রাকেশ সিং হাইকোর্টে আবেদন করে জানান, তাকে যে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তার যেন স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এদিন এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন, পুলিশ আইনমাফিক পদক্ষেপ নিয়েছে এতে আদালতের হস্তক্ষেপের কোনো জায়গা নেই। এদিকে, ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতার বাড়ির বাইরে হাজির হয়ে গিয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। মূলত বিজেপি নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর জন্য সেখানে গিয়েছেন তারা। যদিও সেখানে গিয়ে কার্যত বচসার পরিবেশ তৈরি হয় বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের ছেলের সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর। কারণ তার বক্তব্য, পুলিশ কি কারনে তল্লাশি চালায় তার বৈধ নথি দেখাতে পারেনি তাই বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
পামেলা গোস্বামী বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বিজেপিরই কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঘনিষ্ঠ রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে! বলেছেন, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। একই সঙ্গে সিআইডি তদন্ত চেয়ে পামেলা গোস্বামীর বক্তব্য, রাকেশ সিং যাতে গ্রেফতার হন এটাই তিনি চাইছেন। একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাকেশ সিং যে এই ঘটনায় অভিযুক্ত তার জন্য তাঁর কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এদিকে পামেলা গোস্বামী প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এক জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের আলোচনায় যোগ দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখিয়ে তিনি দাবি করেছেন, গ্রেফতার হওয়ার আগে পামেলা গোস্বামী সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর।